সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে মামলা হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে! ওই জনস্বার্থ মামলাটি সোমবার খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “অন্য দেশের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট কী ভাবে মন্তব্য করতে পারে?” আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বেশ কিছু অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই অবস্থায় সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীর বক্তব্য, সে দেশে থাকা ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের সাহায্য করা হোক। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক আদালত। সোমবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “এটি অন্য দেশের বিষয়। এই আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) কী ভাবে অন্য দেশের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে? অন্য দেশের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা আদালতের পক্ষে খুব অদ্ভুত হবে, তা-ও যখন সেটি একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র।”
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুসারে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই বিষয়টি আদৌ আমাদের (আদালতের বিবেচনার) জন্য নয়। আপনার কী মনে হয়, সরকার এ বিষয়ে জানে না? আদালত এ বিষয়ে কী বলতে পারে?”
মামলাকারীর হয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি খন্নার এজলাসে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে পরামর্শ দেয় মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। সেই মতো মামলাটি প্রত্যাহারের আর্জি জানান রোহতগি। ‘লাইভ ল’ অনুসারে, মামলাকারীকে নিজের বক্তব্য সরকারের কাছে জানানোর জন্য বলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।