স্বামীর সঙ্গে তেলঙ্গানার নিহত তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
পণের দাবিতে প্রকাশ্য রাস্তায় বেধড়ক মারধর করেন স্বামী। তার জেরেই মৃত্যু হল তেলঙ্গানার তরুণীর। ২২ বছর বয়সি ওই তরুণীর নাম অনুষা। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
তেলঙ্গানার ভিকারাবাদ জেলার বাসিন্দা অনুষার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পরমেশ কুমার নামে এক যুবকের। আট মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় সব কিছু। দম্পতির মধ্যে মাঝেমধ্যেই তুমুল বাগ্বিতণ্ডা চলত। অভিযোগ, পণের দাবিতে তাঁকে মারধরও করতেন পরমেশ। মৃত্যুর দু’দিন আগে অশান্তির জেরে বাপের বাড়িতে চলে যান অনুষা। কিন্তু আর কখনও ঝগড়া করবেন না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরমেশ তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। যদিও শ্বশুরবাড়িতে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের মনোমালিন্য শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে।
এই ঘটনার দু’দিনের মাথায় একদিন রাস্তায় স্ত্রীকে বেধ়ড়ক মারধর করেন পরমেশ। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বাইক থেকে নেমে ওই দম্পতি বাড়িতে ঢুকছেন। সে সময় অনুষা খোঁড়াচ্ছিলেন। আচমকা পরমেশ পিছন থেকে স্ত্রীর জামা ধরে টানতে টানতে তাঁকে ফের বাইকের দিকে নিয়ে আসেন। এর পর তাঁকে সজোরে ধাক্কাও দেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তত ক্ষণে অনুষার উপর চড়াও হয়েছেন তাঁর স্বামী। প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে একাধিক বার চড়, লাথি মারেন ওই যুবক। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে একটি চেলাকাঠ তুলে এনে স্ত্রীর মাথায় পর পর আঘাত করতে শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশীরা কোনও মতে পরমেশকে সরিয়ে এনে গুরুতর জখম তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর।
ঘটনার পরেই পরমেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে অনুষার পরিবার। অভিযুক্ত এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।