বিমানধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও থাকবে। —প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকা থেকে আমদানি করা কোনও ব্যবস্থা নয়, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন এলাকার জনগণকে আকাশ পথে শত্রুর হামলা থেকে বাঁচাবে দেশীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা, যার নাম ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন সিস্টেম (আইএডিডব্লিউএস)।
মূলত খরচ কমাতে ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যেই দিল্লির আকাশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (ডিআরডিও)-কে। গতকাল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গোড়ায় ওই নিরাপত্তা প্রযুক্তি আমেরিকার কাছ থেকে কেনার পরিকল্পনা করেছিল ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতেই ভরসা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের লক্ষ্য হল, ২০৩৫ সালের মধ্যে গোটা দেশের আকাশ একটি অদৃশ্য নিরাপত্তা ঢাল দিয়ে মুড়ে দেওয়া, যা আকাশ পথে যে কোনও হামলাকে রুখে দেশের বিভিন্ন শহর, সেনা ছাউনি ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবে।
অপারেশন সিঁদুরের সময়ে শত্রু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান রোখার প্রশ্নে সফল হয়েছিল সুদর্শন ব্যবস্থা। সেই ধাঁচেই দিল্লি ও সংলগ্ন ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আকাশ পথের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইএডিডব্লিউএস ব্যবস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, সংসদ, রাষ্ট্রপতি ভবন, দিল্লির ভিভিআইপি এলাকা ছাড়াও ৩০ কিলোমিটারের ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা ‘স্ট্র্যাটিজিক অ্যাসেট’-এর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে ওই ব্যবস্থা। মূলত বায়ুসেনার সঙ্গে সমন্বয়ী ওই ব্যবস্থায় চোখের পলকে আঘাত হানতে সক্ষম জমি থেকে আকাশে ছোঁড়া যাবে এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি, স্বল্পপাল্লার বিমানধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও থাকবে। পাশাপাশি ড্রোন ধ্বংস বা সেগুলির নেটওয়ার্ক জ্যাম করে নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থাও থাকবে বলে সূত্রের দাবি।