Ministry of Women and Child Development

গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনায় আরও পাঁচ দিন সরকারি আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই পাবেন নিগৃহীতারা! ভাবনা কেন্দ্রের

বিশেষ পরিস্থিতিতে এই ধরনের শিবিরগুলিতে ১৫ দিন পর্যন্তও থাকতে পারবেন নিগৃহীতারা। যে সব মহিলারা ঘরে কিংবা বাইরে, পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের পরিসরে বা কর্মক্ষেত্রে হিংসার শিকার, তাঁদের সাহায্যের জন্যই এই ব্যবস্থা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৭
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলারা ১০ দিনের জন্য সরকারি আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই পেতে পারেন। এমনটাই ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। বর্তমানে নিগৃহীতারা পাঁচ দিন সরকারি শিবিরে থাকতে পারেন। সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করে ১০ দিন করার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। বুধবার এ কথা জানান কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী।

Advertisement

অন্নপূর্ণা জানিয়েছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই ধরনের ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ (ওএসসি)-এ ১৫ দিন পর্যন্তও থাকতে পারবেন নিগৃহীতারা। যে সব মহিলা ঘরে কিংবা বাইরে, পরিবার, বন্ধুবান্ধবের পরিসরে বা কর্মক্ষেত্রে হিংসার শিকার, তাঁদের সাহায্যের জন্য এই শিবিরগুলি তৈরি করা হয়েছিল। নিগৃহীতারা তাঁদের সন্তানদের (যে কোনও বয়সের মেয়ে এবং আট বছর পর্যন্ত বয়সের ছেলে) নিয়ে সর্বাধিক পাঁচ দিনের জন্য ওই শিবিরগুলিতে অস্থায়ী ভাবে আশ্রয় নেওয়ার সুবিধা পেতেন। এ বার ওই সময়সীমাই বাড়িয়ে ১০ দিন করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।

অন্নপূর্ণা বলেন, ‘‘নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয় পারিবারিক হিংসার শিকার নারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টারে অস্থায়ী আশ্রয় পাঁচ দিন থেকে বাড়িয়ে ১০ দিন করার পরিকল্পনা করছে।’’ উল্লেখ্য, জাতীয় স্তরে নির্ভয়াকাণ্ডের পর মেয়েদের সাহায্যার্থে ১৮১ নম্বর হেল্পলাইনটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যে বিষয়টি গৃহীত হলেও অনেক রাজ্যেই তা চালু হয়নি। কোনও কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে যেমন রাজ্য মহিলা কমিশন, নারীদের অভিযোগ জানানোর কেন্দ্র, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আলাদা আলাদা নম্বর রয়েছে, অথচ সর্বজনবিদিত কোনও হেল্পলাইন নম্বর নেই। শুধুমাত্র হেল্পলাইন নম্বর চালু করার ক্ষেত্রে গড়িমসিই নয়, বরং রাজ্যগুলিকে যে ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, অনেক রাজ্যে সেই কাজও কত দূর এগিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই আবহে কেন্দ্রের এই ঘোষণায় আশার আলো দেখছেন অনেকে।

Advertisement
আরও পড়ুন