—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে পাঁচটি বিধানসভার ভোট রয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) কার্যকর করার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) নিয়ে বৃহস্পতিবার আলাদা ভাবে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশী।
এসআইআর কার্যকর করার উদ্দেশ্যে দেশের সবক’টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিইও-কে নিয়ে দিল্লিতে বুধবার থেকে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সিইও এবং যুগ্ম সিইও-রাও বৈঠকে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বৈঠকের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে আলাদা ভাবে পাঁচ সিইও-কে নিয়ে বৈঠক করেন জ্ঞানেশরা। বিহারে এসআইআর-পর্ব শেষে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরে আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, এ বার সেখানে এসআইআর কার্যকর করা হবে।
কমিশনের তরফে ডেপুটি ডিরেক্টর আর পবন বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সমস্ত সিইও-কে এসআইআর-প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শেষ করতে বলা হয়েছে ‘ম্যাপিং’-এর কাজ। ভোটার তালিকায় ‘ম্যাপিং’-এর অর্থ— এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালে শেষ এসআইআর-তালিকা মিলিয়ে দেখা। দুই তালিকায় কত জনের নাম অভিন্ন, দেখা হয় তা। সঙ্গে দেখা হয়, এখনকার ভোটার তালিকায় থাকা কোনও ভোটারের মা-বাবার নাম গত এসআইআরের তালিকায় রয়েছে কি না। এই মিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টেরা চিহ্নিত হয়ে যাবেন এমনিতেই। তাঁদের আলাদা করে কোনও নথিপত্র বা প্রমাণ দাখিল করতে হবে না আসন্ন এসআইআরের সময়ে। সিইসি জ্ঞানেশ এবং অন্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা ‘ব্যক্তিগত ভাবে’ পাঁচ সিইসি-র সঙ্গে এসআইআর নিয়ে কথা বলেছেন বলেও জানান ডেপুটি ডিরেক্টর পবন।