2020 Delhi Clash

‘দিল্লি হিংসার সঙ্গে যোগসূত্র নেই’, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল উমর, শারজিলদের! সোমবার ফের শুনানি শীর্ষ আদালতে

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষপর্বে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটেছিল। ছাত্রনেতা উমর, শারজিল ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শিফা উর রহমান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০৫
(বাঁ দিকে) শারজিল ইমাম এবং উমর খালিদ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শারজিল ইমাম এবং উমর খালিদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত উমর খালিদ এবং শারজিল ইমামদের জামিন মামলার নিষ্পত্তি হল না শুক্রবার। সোমবারও এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার উমর, শারজিলদের আইনজীবীরা বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে সওয়াল করেন।

Advertisement

উমরের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, “যে দিন হিংসার ঘটনাটি হয়, সে দিন আমি (উমর) দিল্লিতে ছিলাম না। তা হলে আমি কী ভাবে এর ষড়যন্ত্র করতে পারি?” সিব্বল আদালতে এ-ও জানান যে, উমরের যে বক্তৃতাকে উস্কানিমূলক বলা হচ্ছে, সেই বক্তৃতায় উমর গান্ধীবাদী ধারণার কথা তুলে ধরেন। চাইলে যে কেউ সমাজমাধ্যমে ওই বক্তৃতা শুনতে পারেন বলেও জানান সিব্বল। একই ভাবে জামিনের জন্য সওয়াল করেন শারজিল, গুলফিশা ফতিমার আইনজীবীরাও।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষপর্বে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ছাত্রনেতা উমর, শারজিল ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শিফা উর রহমান। দিল্লি হাই কোর্ট গত ২ সেপ্টেম্বর জামিনের আর্জি নাকচ করার পরে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অভিযুক্তেরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে যায় জামিনের আবেদন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও এ বিষয়ে জবাব দাখিল না করায় দিল্লি পুলিশকে গত ২৭ অক্টোবর ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি পুলিশ এর আগে হাই কোর্টে দাবি করেছিল, হিংসার ঘটনায় ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ উমর। শারজিলের বিরুদ্ধে হিংসাপর্বের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ শীর্ষ আদালতকে জানায়, ক্ষমতার পালাবদল ঘটানোই উদ্দেশ্য ছিল উমর, শারজিলদের।

Advertisement
আরও পড়ুন