Pahalgam Terrorist Attack

‘কাশ্মীরিদের উপর ভরসা আছে, এসেছি যখন, ঘুরব’! পহেলগাঁও কাণ্ডের পর আতঙ্কের মাঝেও পর্যটকদের একাংশের দাবি

মহারাষ্ট্র থেকে আসা ওই পর্যটকদের দাবি, ঘটনার দিন পহেলগাঁওতেই ছিলেন। তবে অবশ্য ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে পহেলগাঁও ছাড়লেও, কাশ্মীরেই থাকবেন। ঘুরবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৩৬
পহেলগাঁও হামলার বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।

পহেলগাঁও হামলার বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে অনেক পর্যটকই আতঙ্কে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়ছেন। কিন্তু এমন পর্যটকও রয়েছেন যাঁরা সেই আতঙ্ককে ‘তোয়াক্কা’ না করেই পাল্টা দাবি করছেন, কাশ্মীর যখন ঘুরতে এসেছেন, দেখেই যাবেন। কারণ, কাশ্মীরিদের উপর আস্থা, ভরসা রয়েছে।

Advertisement

মহারাষ্ট্র থেকে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছেন কয়েক জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে দুই মহিলা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর আত্মীয়, পরিচিতেরা অনেকেই ফিরে আসার জন্য বার বার জোরাজুরি করছেন। মঙ্গলবার যে ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই ভয় ধরানোর মতো। কিন্তু আমরা ভীত নই।’’

মহারাষ্ট্র থেকে আসা ওই পর্যটকদের দাবি, ঘটনার দিন পহেলগাঁওয়েই ছিলেন। তবে অবশ্য ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে পহেলগাঁও ছাড়লেও, কাশ্মীরেই থাকবেন। ঘুরবেন। ওই পর্যটকদের আরও এক সঙ্গী জানিয়েছেন, কাশ্মীরিদের আতিথেয়তা মুগ্ধ করার মতো। স্থানীয়দের উপর ভরসা করা যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁদের আতিথেয়তা অতুলনীয়। আর সেই আতিথেয়তার জন্য পর্যটকদের আস্থা, ভরসা অর্জন করেছেন ওঁরা। কাশ্মীরিরা সব সময় পর্যটকদের সাহায্য করেন।’’

ওই পর্যটকেরা তাঁদের গাড়িচালকের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। কখনও পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জানতে চান না কাশ্মীরের গাড়িচালকেরা। পর্যটকের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবেন ওঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা যখন গাড়ি বুক করেছিলাম, চালক কিন্তু ধর্মপরিচয় জানতে চাননি। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর গাড়িচালকই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন। নিজের পরোয়া না করে নিরাপদে আমাদের হোটেলে পৌঁছে দিয়েছেন।’’ এর পরই ওই পর্যটকেরা জানান, পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় চার দিকে যখন আতঙ্ক, তাঁর কিন্তু ভীত নন। কারণ, কাশ্মীরিদের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের।

ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার ঘটনায় যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহারাষ্ট্রেরই ছ’জন।

Advertisement
আরও পড়ুন