Russia Pakistan Relation

পাকিস্তানকে চিনা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন জোগাচ্ছে ভারতের ‘বন্ধু’ রাশিয়া? অবশেষে মুখ খুলল মস্কো

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সত্ত্বেও পাকিস্তানকে কী ভাবে সামরিক সহযোগিতা দিতে রাজি হল মস্কো? প্রশ্ন উঠেছিল। বিতর্কের মাঝে অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুলল রাশিয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৩
What Russia said about the controversy regarding engine supply to Pakistan

(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

চিনের তৈরি যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ ব্যবহার করে পাকিস্তান। সেই যুদ্ধবিমানের জন্যই নাকি তারা ইঞ্জিন কিনতে চলেছে রাশিয়ার কাছ থেকে! সম্প্রতি এমন কিছু রিপোর্টে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানকে কী ভাবে সামরিক সহযোগিতা দিতে রাজি হল মস্কো? প্রশ্ন উঠেছিল। বিতর্কের মাঝে অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুলল রাশিয়া। জানাল, এমন কোনও নিশ্চিত চুক্তি হয়নি পাকিস্তানের সঙ্গে।

Advertisement

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, চিনের জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক ৩ যুদ্ধবিমানের পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে আরডি-৯৩এমএ ইঞ্জিন কিনছে পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইয়ন এ বিষয়ে রাশিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। রুশ সূত্র উল্লেখ করে ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মস্কো এই গুজব খারিজ করে দিয়েছে। রাশিয়ার আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এই খবরের কোনও নিশ্চয়তা নেই। ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে যাঁরা খবর রাখেন, তাঁরা একে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার এতটাও বন্ধুত্ব নেই, যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’’

আগামী ডিসেম্বরে ভারত এবং রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে যোগ দিতে ভারতে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত সপ্তাহে মস্কোয় ভালদাই ফোরাম সম্মেলন থেকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। পুতিন জানিয়েছেন, আমেরিকার আরোপিত শুল্কের কারণে ভারতের যা ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেবে রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য আরও বেশি করে কৃষিজাত পণ্য এবং ওষুধ কেনার পরিকল্পনা করছে মস্কো। ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত বছর রাশিয়ায় গিয়েছিলেন মোদী। এ বছর পুতিন আসছেন।

রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র কেনে ভারত। রাশিয়ার এস-৪০০ গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল নয়াদিল্লি। তাতে সাফল্যও এসেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনে ভারত। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে তেল আমদানি আরও বেড়ে গিয়েছে। এতে আমেরিকা আপত্তি তুলেছিল। ভারতের উপর শাস্তিমূলক ৫০ শতাংশ শুল্কও আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু ক্রমাগত মার্কিন হুমকি সত্ত্বেও এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনা বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি।

Advertisement
আরও পড়ুন