Low porosity hair mask

চুলের আর্দ্রতা সহজেই চলে যায়? ‘লো পোরোসিটি’র সমস্যা মিটতে পারে তিন উপায়ে

চুলের পোরোসিটি কেমন তা পরীক্ষা করার উপায় আছে। খুব কম পোরোসিটি হলে তার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া দরকার। তবে লো পোরোসিটির সমস্যার কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৩

ছবি : সংগৃহীত।

দূষণের ‘কল্যাণে’ চুলের স্বাস্থ্যের দফারফা হয় তাঁদের প্রত্যেকেরই যাঁরা নিয়মিত বাইরে বেরোন। এর মধ্যে যাদের চুল রুক্ষ তাদের চুল নষ্ট হয় আরও বেশি। চুল রুক্ষ বা শুষ্ক হওয়ার একটা বড় কারণ হল চুলের ‘পোরোসিটি’ বা জল ধারণ ক্ষমতা কম হওয়া। চুলের জল ধারণ ক্ষমতা বেশি না হলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত নষ্ট হয়। ফলে চুল দেখায় রুক্ষ, অনুজ্জ্বল। বার বার চুল আঁচড়ালেও তা বসে থাকতে চায় না। দেখতেও লাগে খারাপ।

Advertisement

চুলের পোরোসিটি কেমন তা পরীক্ষা করার উপায় আছে। খুব কম পোরোসিটি হলে তার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া দরকার। তবে লো পোরোসিটির সমস্যার কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে। তেমনই তিন চুলের মাস্কের সন্ধান দিলেন রূপটান শিল্পীরা।

১। এক কাপ কাঠ বাদামের তেলে অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। মিনিট ১০-১৫ রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে নরম। আসবে ঔজ্জ্বল্যও।

২। একটি অ্যাভোকাডো ফলের শাঁসের সঙ্গে আধকাপ দুধ মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তার পরে হাল হাতে মাসাজ করে আরও কিছু ক্ষণ রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

৩। সমপরিমাণে পাকা কলা এবং পাকা পেঁপের শাঁস এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তাতে সম পরিমাণ দই দিয়ে ভাল করে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক। তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সতর্কতা

যেকোনও প্রাকৃতিক উপকরণের অ্যালার্জি হতে পার। তাই তা আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী কি না, তা ব্যবহার করার আগে পরখ করে নিন। মাথার ত্বকে লাগানোর আগে হাতের ভিতরের দিকের অংশে লাগিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। অস্বস্তি না হলে তবেই মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন।

Advertisement
আরও পড়ুন