Cheat day of Ajay Devgan

‘যা যা খেতে ভালবাসি, তা সারা বছর খাওয়া যাবে না’! নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কেন বললেন অজয়

বলিউডের নায়কদের নিয়মানুবর্তিতার গল্পই শোনা যায় বেশি। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশন— প্রত্যেকেই নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া, সময় ধরে শরীরচর্চার অভ্যাসে চলেন। অজয় দেবগন শোনালেন সেই নিয়মের বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছের গল্প।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৮
নিয়ম ভেঙেও ফিট অজয় দেবগন! কোন উপায়ে?

নিয়ম ভেঙেও ফিট অজয় দেবগন! কোন উপায়ে? ছবি : সংগৃহীত।

নায়কেরা সারা বছরই মেপেজুপে খাওয়াদাওয়া করেন। অঙ্ক কষে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থের প্রয়োজন বুঝে তৈরি হয় তাঁদের সকাল-দুপুর-রাতের খাদ্যতালিকা। তা বলে কি তাঁদের কখনও এক হাতা বেশি বিরিয়ানি বা খানকতক মুচমুচে ভাজা খাবার খেতে ইচ্ছে হয় না? রাবড়ি, হালুয়া দেখে জিভে জল আসে না? বলিউডের নায়ক অজয় দেবগন সম্প্রতি সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন।

Advertisement

এমনিতে বলিউডের নায়কদের নিয়মানুবর্তিতার গল্পই শোনা যায় বেশি। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশন— এঁরা প্রত্যেকেই নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া, সময় ধরে শরীরচর্চার অভ্যাসে চলেন। অজয়ও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে তিনি শোনালেন সেই নিয়মের বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছে-অনিচ্ছের গল্প।

এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রী অর্চনাপূরণ সিংহ অজয়কে প্রশ্ন করেন, একটি পছন্দের খাবার যদি সারা বছর খেতে বলা হয়, তবে তিনি কোন খাবারটিকে বেছে নেবেন। জবাবে অজয় যা বলেছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, নায়ক হতে গেলে অনেক ছোটখাট ইচ্ছের সঙ্গে সমঝোতা করে নিতে হয়। আর তা করতে পারেন বলেই তাঁরা নায়ক।

প্রথমে অবশ্য বাকি নায়কদের সুরেই প্রশ্নটির জবাব দিয়েছিলেন অজয়। অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘আমি যে কোনও খাবারই সারা বছর ধরে খেতে পারি। যদি তা স্বাস্থ্যকর হয়।’’ কিন্তু এর পরে যখন নায়ককে তাঁর পছন্দের একটি খাবার বেছে নিতে জোর করা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘‘যে সব খাবার পছন্দ, তা তো সারা বছর খাওয়া যাবে না!’’ কেন? অজয় জানিয়েছেন, তার কারণ, তাঁর পছন্দের খাবারগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘অস্বাস্থ্যকর’।

কী এমন খেতে ভালবাসেন অজয়? এর জবাবে অজয় জানিয়েছেন, ‘‘আমি মটন খেতে দারুণ ভালবাসি, ছোলে বাটুরে দেখলে জিভে জল আসে। দক্ষিণ ভারতীয় আমিষ-নিরামিষ মশলাদার রান্নাও আমার দারুণ পছন্দ।’’ তবে সে সব খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য কালেভদ্রেই হয় নায়কের। অজয় জানিয়েছেন, মাসে এক বার বা দু’বার কোনও এক বেলায় পছন্দের খাবার খেয়ে নিয়ম ভাঙেন তিনি।

অজয়ের এই গু‌ণটি থেকে শিক্ষা নিতে পারেন সেই সমস্ত মানুষ যাঁরা খেতে ভালবাসেন আবার স্বাস্থ্যের ক্ষতিও চান না। অজয়ের মতোই পছন্দের খাবারটি সারা বছর ধরে বারে বারে না খেয়ে তাঁরা মাসে এক বার বা দু’বার খেতে পারেন। তাতে যেমন পছন্দের খাবারটিকে জীবন থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে না, তেমনই স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কঠিন নিয়ম বজায় রাখার অনুপ্রেরণাও বজায় থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন