ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানানোর পন্থা। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শীতে মুখে যে ম্লান ক্লান্তি ধরা পড়ে, তা ঢাকতে মেকআপ নয়, কেবল ঘরোয়া যত্নই যথেষ্ট। এ সময়ে রান্নাঘরের তাকের তিন রকমের পাউডার দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন। হাতের নাগালে থাকা কয়েকটি উপাদানই সঙ্গ দিতে পারে এই মাস্ক বানানোর পদ্ধতিতে। রইল সেই তিন মাস্কের খুঁটিনাটি।
মাচা টি ফেস মাস্ক
মাচা গ্রিন টি মানেই ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ফ্রি র্যাডিকালের সঙ্গে যুঝতে প্রস্তুত সর্বদা। এই গ্রিন টি-তে না মেশানো থাকে চিনি, না মেশানো থাকে প্রিজ়ারভেটিভ বা সংরক্ষণ করার রাসায়নিক। এই পাতার পাউডারে একটু মধু মিশিয়ে পাতলা পেস্ট বানাতে পারেন। মধুতে রয়েছে প্রদাহনাশী এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণাগুণ। এই পেস্ট মুখে মাখলে, ত্বক থেকে ক্লান্তি এবং নিস্তেজ ভাব দূর হতে পারে। পাশাপাশি, লোমকূপও পরিষ্কার থাকবে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় এই মাস্ক ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। শুষ্কতা দূর করে ত্বকের জলশূন্যতা মেটাতেও সহায়ক। পেস্ট যদি খুব শুকনো মনে হয়, তা হলে এর সঙ্গে অল্প হোহোবা বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ত্বকের যত্ন নিন ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বেসনের ফেস মাস্ক
বাঙালি ঘরে ত্বকের যত্ন বলতে প্রথমেই যে জিনিসটির কথা মনে পড়ে, তা হল বেসন। একটু দই আর লেবুর রস মিশিয়ে দিলে তৈরি হয় বেসনের ফেস প্যাক। শুষ্কতা দূর করতে, মৃত ত্বক ঝরিয়ে ফেলতে, ব্রণ দূর করতে, রোদে পোড়ার সমস্যা মেটাতে আর মুখের নিস্তেজ রং উজ্জ্বল করতে বেসনের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষ ভাব কমে, আর শীতের মলিন আলোয় মুখে আভা দেখা যায়।
হলুদের ফেস মাস্ক
রোগনাশক ক্ষমতা তো আছেই, তারই সঙ্গে মুখে স্বাভাবিক দীপ্তি বাড়ানোর কৌশলও জানা রয়েছে হলুদের। অল্প হলুদ গুঁড়ো, সামান্য বেকিং পাউডার আর গোলাপজল মিশিয়ে বানানো প্যাক ত্বকের কালচে ছোপ কমাতে পারে। দাগ হালকা করে আর মুখের রঙে এনে দেয় সাবলীল ঔজ্জ্বল্য। শীতকালের হাওয়ায় যখন ত্বক নির্জীব হয়ে যায়, তখন এই হলুদের প্যাক ত্বকে কোমল ভাব আনতে পারে।