Foods for hair growth

মাথাজোড়া টাক নয়, ঢেউ খেলবে চুলের, অ্যালোপেসিয়া থেকে বাঁচাবে ৫ রকম খাবার

চুল পড়ার সমস্যা বয়সের কোঠায় আটকে নেই, কমবয়সিরাও ভুগছেন এই সমস্যায়। শুধু ছেলেরা কেন, মাথার সামনের দিকে গোছা গোছা চুল উঠছে অনেক মেয়েরই। এর কারণ যে কেবল বংশগত বা চুলের অযত্ন তা নয়। কারণ আরও রয়েছে। সেই সব সমস্যার প্রতিকারে কিছু খাবার রোজের পাতে রাখতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৪
Fuel your scalp with DHT-fighting foods that naturally support stronger and healthier hair

টাক পড়বে না, রোজ খান পাঁচ রকম খাবার। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

মেঘবরণ চুল না থাক, অন্তত এক মাথা ঘন চুল তো আশা করাই যায়! কিন্তু মাথার মাঝে এদিক সে দিক ফাঁকা অংশ মোটেও মানানসই নয়। মাথাজোড়া টাক কারই বা ভাল লাগে! চল্লিশ পেরোলে অনেক ছেলেরই চুল উঠে টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তবে এখন চুল পড়ার সমস্যা বয়সের কোঠায় আটকে নেই, কমবয়সিরাও ভুগছেন এই সমস্যায়। আর শুধু ছেলেরা কেন, মাথার সামনের দিকে গোছা গোছা চুল উঠছে অনেক মেয়েরই। এর কারণ যে কেবল বংশগত বা চুলের অযত্ন তা নয়। বিশেষ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, শরীরে হরমোনের গোলমাল ও রোজের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য দায়ী।

Advertisement

একটি চুলের জীবনচক্রের তিনটি দশা। প্রথম তিন বছর হল অ্যানাজেন দশা। নতুন চুল বেড়ে ওঠার সময়। এর পরে ২-৪ সপ্তাহ স্বল্পস্থায়ী একটি পর্ব চলে যার নাম ক্যাটাজেন। এর পরে ৩-৪ মাসের টেলোজেন দশা শেষ করে চুল পড়ে যায়। আবার নতুন চক্রের চুল এসে শূন্যস্থান পূরণ করে। কিন্তু এই চক্রটি যদি ওলটপালট হয়ে যায়, তখনই গোলমাল বাঁধে। নতুন চুল গজানোর বদলে চুল উঠতে থাকে বেশি। অস্বাভাবিক চুল পড়ার সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে অ্যালোপেসিয়া। অধিকাংশ সময়ে যে টাক পড়া নিয়ে চর্চা শোনা যায় তা আসলে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া বা পুরুষসুলভ টাক পড়া। এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের কারসাজিই দায়ী। এক বার টাক পড়া শুরু হলে বিশেষ চিকিৎসা না করালে চুল ঝরে গিয়ে মাথাজোড়া টাক পড়ে।এই টাকের ঝুঁকি আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যেও বেশি দেখা যায়। প্রসবের পর, ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য হলে। একে ঠেকাতে বিশেষ কিছু খাবার রোজের পাতে রাখলে ভাল।

টাক থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন?

বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার

ডিম, বাদাম ও বীজ (সর্ষে, তিসি, কুমড়ো বীজ), মিষ্টি আলু, ওট্‌সে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে। কেবল বায়োটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা জেল মাখলে যত না কাজ হবে, তার চেয়ে বায়োটিনে ভরপুর খাবার খেলে লাভ হবে বেশি। এটি কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।

টম্যাটো

টম্যাটোতে থাকে লাইকোপিন যা শরীরে হরমোনের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও থাকে যা চুলের গোড়া মজবুত করে। রোজের পাতে টম্যাটো রাখলে উপকার হবে। তবে কাঁচা টম্যাটোর স্যালাড বা টম্যাটো দিয়ে রান্না করা স্যুপ খেলে কাজ হবে বেশি।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়াই হোক বা হাড় মজবুত রাখা, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে চুল পড়া বন্ধ করা, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে যে সব পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তা ছাড়া আখরোট, তিসির বীজ, চিয়া বীজ, সয়াবিন, পেঁপে, কমলালেবুতে ওমেগা ৩ থাকে।

গ্রিন টি

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। গ্রিন টি-এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অর্থাৎ প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

চুল পড়া বন্ধ করতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ভাল। এর জন্য বিন বা ডাল জাতীয় খাবার রাখুন ডায়েটে। জলখাবারের সঙ্গে খান কিশমিশ, অ্যাপ্রিকট, কাজু বা কাঠবাদাম। এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা শরীরকে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। প্রতি দিন পালং শাক, নানা রকম সব্জি, স্যুপ রাখুন ডায়েটে। এ ছাড়াও ছানা বা পনির, ডিম, চিকেন খেলেও শরীর পর্যাপ্ত আয়রন পাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন