ওয়াটারপ্রুফ চোখের মেকআপ ব্যবহারের কিছু নিয়ম। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ঘাঁটবে না বলে ‘ওয়াটারপ্রুফ’ আই লাইনার ব্যবহার তো করছেন, সঠিক নিয়ম না জানলেই চোখের ক্ষতি। যতই ঘাম হোক, এমন প্রসাধনী চট করে উঠবে না বা ঘেঁটে যাবে না। ফলে চোখের সাজ একই রকম সুন্দর থাকবে। তবে সমস্যা হবে প্রসাধনী তোলার সময়ে। জল দিয়ে সহজে উঠতে চায় না এমন আই লাইনার। বরং আঠালো হয়ে যায়। খুব জোরে ঘষলে চোখের ক্ষতি হবে। তাই ত্বকের চিকিৎসেকরা এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে বারণ করেন। তবে একান্ত যদি ব্যবহার করতেই হয়, কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
জলরোধী চোখের সাজের জন্য কী কী নিয়ম মানবেন?
যে ধরনের প্রসাধনী মাখুন না কেন, তার মান কেমন তা দেখে নেওয়া জরুরি। চোখের উপর আইশ্যাডো, চোখের পাতায় লাইনার বা মাস্কারা— ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী মাখলে তা নামী সংস্থা থেকেই কেনার চেষ্টা করুন।
নতুন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে ত্বকের নির্দিষ্ট একটি অংশে প্যাচ টেস্ট করে নিতে বলেন চিকিৎসকেরা। সরাসরি মুখের কোথাও ব্যবহার করার আগে তা থেকে র্যাশ বেরোচ্ছে কি না সে বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
একটানা দীর্ঘ সময় এমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। রাতে আইলাইনার তুলেই ঘুমোতে যাবেন। না হলে এর থেকে কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে।
কী ভাবে তুলবেন?
মাইসেলার ওয়াটারে তুলো ভিজিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চোখের পাতা মুছতে থাকুন। ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তুলতেও কিন্তু এটি সমান কার্যকরী। যে কোনও ধরনের ত্বকে এটি ব্যবহার করা যায়। আইলাইনার উঠে গেলে ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
আমন্ড তেল বা নারকেল তেল দিয়েও ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তুলতে পারেন। আমন্ড তেল ও নারকেল তেল দুটোই প্রাকৃতিক উপাদান। তাই ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না। আমন্ড তেল বা নারকেল তেলে তুলো ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫ সেকেন্ড ধরে রাখলেই আইলাইনার উঠে যাবে। তার পর ভাল করে চোখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন।
ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী জলে ধুলে যায় না। তাই তুলোর মধ্যে তৈলাক্ত কোনও ক্লিনজ়ার নিয়ে আগে কাজল, লাইনার বা মাস্কারা তুলে নিন। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।