রাতারাতি ব্রণ দূর করার সহজ ও কার্যকরী টোটকা। ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময় মানেই বিয়েপাড়ি, পার্টি, অনুষ্ঠান লেগেই থাকবে। যে কোনও অনুষ্ঠানেই নজরকাড়া হতে চাইলে এমন ভাবে রূপচর্চা করতে হবে যে ত্বক ভিতর থেকে তরতাজা ও জেল্লাদার দেখায়। কিন্তু শীতের সময়ের সমস্যা হল, ত্বক খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। সকালে ভাল করে ক্রিম মেখে বেরোলেন, কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যে দেখলেন ত্বকে টান ধরেছে, বলিরেখাও পড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গেই নাজেহাল করে দেবে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা। নাকের দু'পাশে, ঠোঁটের কোণায়, কপালে বা গালে গজিয়ে ওঠা বড়সড় ফুস্কুড়ি বা ব্রণ রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এগুলিতে আবার প্রবল যন্ত্রণাও হয়। কিন্তু যদি সময় কম থাকে ও একদিনেই ব্রণ দূর করতে হয়, তা হলে মেকআপ নয়, ঘরোয়া কিছু টোটকা আছে। যন্ত্রণাহীন ভাবে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর করবে।
রাতারাতি ব্রণ দূর করার উপায় কী কী?
তুলসি ও হলুদ
কাঁচা হলুদ দু'চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একই ভাবে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভাল করে ধুয়ে বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। দিনে বার তিনেক লাগাতে হবে। সারা দিনের জন্য একবারে বানিয়ে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দেখবেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর হয়েছে। ব্রণ বা ফুস্কুড়ির কারণে যে দাগ পড়ে ত্বকে, তা-ও মিলিয়ে যাবে।
নিমপাতা ও গোলাপজল
নিমপাতা খুবই ভাল অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলি ধুয়ে জলে মিনিট দুয়েক ফোটান। তার পর জল থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বেটে নিন। এ বার পাতা বাটায় দু' চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণর উপরে লাগিয়ে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকোবে, ব্যথাও কমবে।
লেবুর রস
ব্রণের দাগ হালকা করতে লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে । লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলির মেরামতিতে সহায়তা করে। এটিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডও রয়েছে, যার ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য দাগ ফিকে করতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোদে বাইরে না যান, তবে আপনি এটি সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। তবে ত্বক খুব সংবেদনশীল হলে লেবুর রস না মাখাই ভাল।
চন্দনবাটা
অল্প গোলাপ জলে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি ব্রণের উপরে লাগান। চন্দনে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণে যদি ব্রণর সমস্যা বাড়ে, তা হলে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তুলোয় করেএক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি ব্রণের উপর লাগান। না হলে, ১:৯ অনুপাতে জলের সঙ্গে মিশিয়ে (১ ভাগ টি ট্রি অয়েল, ৯ ভাগ জল) ব্যবহার করা ভাল। ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।