ঘরেই বানিয়ে নিন ব্লাশ, শিখে নিন ব্যবহারের পদ্ধতিও। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
পার্টি মেকআপ করবেন অথচ ব্লাশ ব্যবহার করবেন না, তা কি হয়? অনেকেই এর কদর বোঝেন না। ব্লাশ লাগালে মুখে আলাদা জেল্লা আসে। যদিও ব্লাশ লাগানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। ব্লাশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা চাই। ব্লাশ আবার ঘরেও তৈরি করা যায়। ঘরোয়া উপকরণে তৈরি ব্লাশে রাসায়নিক থাকে না। ফলে তা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
ব্লাশ তৈরির পদ্ধতি
সকলের বাড়িতেই ভ্যাসলিন বা অন্য কোনও পেট্রোলিয়াম জেলি থাকে। ১ চামচ ভ্যাসলিন একটি পাত্রে নিয়ে মাইক্রোওয়েভে গলিয়ে নিতে হবে।
প্রিয় রঙের আইশ্যাডোর খানিকটা তুলে নিন। সেটি পেট্রোলিয়াম জেলির মধ্যে ঢালুন।
ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে যাতে কোনও দানা বেঁধে না থাকে।
যদি মনে হয় রংটা আরেকটু গাঢ় চাই তাহলে সামান্য বেশি আইশ্যাডো মিশিয়ে নিন।
হয়ে গেলে সারা রাত কোনও ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিন পাত্রটা। গলানো পেট্রোলিয়াম জেলি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের জমে যাবে।
সকালে উঠে দেখবেন আপনার ক্রিম ব্লাশ তৈরি! এই ব্লাশ ত্বকের জন্য ভাল, সংরক্ষণ করেও রাখতে পারবেন।
ব্যবহারের পদ্ধতি
মেকআপের পরে ত্বকে জেল্লা আনতে চান? এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেই পারেন জেল ব্লাশ। জেল ব্লাশ মুখে আলাদা উজ্জ্বলতা এনে দেয়। ফাউন্ডেশনের উপর বা কিছু না লাগানো অবস্থায় এই ব্লাশ লাগান। নায়িকাদের জেল্লাদার ত্বকের নেপথ্যে কিন্তু জেল ব্লাশ অনেকটাই দায়ী।
মেকআপের সঙ্গে ব্লাশ ঠিক করে না মেশালে মোটেই সাজ ভাল দেখাবে না। ব্রাশের টান যাতে বাইরের দিকে এবং উপরের দিকে থাকে, সে দিকে নজর রাখুন। তবেই মুখের আকারে বদল আসবে।
ব্লাশের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যাঁদের মুখ গোল, তাঁদের ম্যাট ব্লাশ লাগানোই ভাল। চকচকে বা শিমার ব্লাশ লাগালে আলো বেশি পড়বে। তাতে মুখ আরও বেশি গোল দেখাবে।