Homemade Skin Cleanser

ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে কখনও দই, কখনও বেসন? রূপচর্চায় ভুল করে বসছেন না তো?

ত্বকচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল, ক্লিনজ়িং, অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করা। কিন্তু সেই ধাপে সফল হওয়া তখনই সম্ভব, যদি আপনি নিজের ত্বকের ধরন সম্পর্কে অবগত থাকেন। সেটি বুঝে নিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় প্রাকৃতিক ক্লিনজ়িং।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৫ ১৮:৫০
Process of making natural cleanser for your face according to oily, dry and combination skin

কোন ধরনের ত্বকের জন্য কোন ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা উচিত? ছবি: সংগৃহীত।

শুষ্ক না কি তৈলাক্ত, আপনার ত্বক কোন ধরনের? এই প্রশ্নটি সহজ হলেও কম্বিনেশন ত্বক নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান অনেকে। কারণ নিজের ত্বক শুষ্ক না তৈলাক্ত, এইটুকু তো অধিকাংশই বলতে পারেন। কিন্তু শুষ্ক না কি কম্বিনেশন, অথবা তৈলাক্ত না কি কম্বিনেশন, প্রশ্ন করলে খানিক অস্পষ্ট উত্তর মেলে। কারণ অধিকাংশই তাঁদের ত্বকের ধরন সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নন।

Advertisement

ত্বকচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল, ক্লিনজ়িং, অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করা। কিন্তু সেই ধাপে সফল হওয়া তখনই সম্ভব, যদি আপনি নিজের ত্বকের ধরন সম্পর্কে অবগত থাকেন। নিজের ত্বক সম্পর্কে খানিক জ্ঞান অর্জন করে নেওয়ার পর বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় প্রাকৃতিক ক্লিনজ়িং।

Process of making natural cleanser for your face according to oily, dry and combination skin

শুষ্ক, তৈলাক্ত না কি মিশ্র, আপনার ত্বক কোন ধরনের? ছবি: সংগৃহীত।

তিন ধরনের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজ়িংয়ের প্রস্তুতপ্রণালী

তৈলাক্ত ত্বক: মুলতানি মাটি দিয়ে খুব সহজেই তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করা যায়। মুলতানি মাটি এক প্রকার প্রাকৃতিক কাদামাটি যা ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করার জন্য বহু কাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২ চা চামচ মুলতানি মাটিতে এক চিমটে কর্পূর গুঁড়ো মেশান। এর পর জল দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে ভেজা ত্বকে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

কম্বিনেশন ত্বক (মিশ্র ত্বক): পেঁপে কুচি কুচি করে কেটে তার সঙ্গে ওটমিল এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। মুখে এবং ঘাড়ে মাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পেঁপের মধ্যে শক্তিশালী ক্লিনজ়িং এনজ়াইম রয়েছে। রোদে পোড়া থেকে ত্বককে বাঁচায়, কালো দাগ দূর করে।

এ ছাড়াও ক্লিনজ়ার হিসেবে দই ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় বা কম্বিনেশন হয়, তা হলে রাতে বাড়ি ফিরে রোজ ২ টেবিল চামচ দই নিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বক পরিষ্কার করতে স্ট্রবেরিও ব্যবহার করা যেতে পারে। ৩-৪টি ম্যাশ করা বা বেটে নেওয়া স্ট্রবেরি মুখে মাখলে ঔজ্জ্বল্য ফেরে ত্বকে। ভাল করে পরিষ্কার হয় এবং কোমলও হয়।

শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জ্বালা থেকে বাঁচতে ঘরের একাধিক উপাদানই কার্যকরী। অনেক সময় বাইরের প্রসাধনী ব্যবহার করার পর মুখে আরও টান ধরে, ফেটে যায়। তা হলে সে সব সামগ্রী বাদ দিয়ে নয়া পন্থা অবলম্বন করা উচিত। নীচে কয়েকটি প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ারের সন্ধান দেওয়া হল—

১. আমন্ড অয়েল নিন ১০ চা চামচ। জলপাই বা অলিভ অয়েল নিন ১০ চা চামচ। তাতে মিশিয়ে দিন অর্ধেক লেবুর রস। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে রাখুন। যখন দরকার, সেখান থেকে ১ চা চামচ নিয়ে তার সঙ্গে কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে নেবেন। তার পর সারা মুখে, চোখের চারপাশে আলতো করে মাসাজ করুন। ত্বকের ক্লিনজ়ার এবং এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে এটি।

২. ঠান্ডা টম্যাটোর অর্ধেক কেটে নিয়ে একটি অংশ মুখে ঘষে দেখুন। এই গরমে ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের ছিদ্রগুলি সঙ্কুচিত করতে পারে টম্যাটো। এর ফলে ত্বক কোমল হবে এবং টানটান দেখাবে।

৩. ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় বেসনের ব্যবহার বহু কালের। শুষ্ক ত্বকে বেসনের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে মাসাজ করলে উপকার মিলতে পারে। বেসনের সঙ্গে দই মিশিয়ে মাখলে তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বকের জন্য সেটি উপযুক্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন