প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত মাসেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্ধ্রপ্রদেশের আলুরি সীতারামারাজুতে নিহত হয়েছিলেন মাওবাদী শীর্ষনেতা মাডবী হিডমা। তার ঠিক এক মাসের মধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হলেন আরও এক মাওবাদী শীর্ষনেতা গণেশ উইকে।
সংবাদাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার কন্ধমল জেলার এক জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। জঙ্গল ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানোর সময় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ গুলির লড়াই চলে। এক পুলিশকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম গণেশ উইকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাওবাদী সদস্যদের কাছে গণেশ পাক্কা হনুমন্তু, রাজেশ তিওয়ারি, চামরু এবং রুপা নামে পরিচিত ছিলেন। তেলঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার চেন্দুর মণ্ডলের পুল্লেমালা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন গণেশ। পুলিশ জানিয়েছে, গণেশের মাথার দাম ছিল এক কোটি এক লক্ষ টাকা। হিডমার মৃত্যুর পর গণেশের খোঁজেও তল্লাশি চলছিল। বুধবার রাতে গোপন সূত্রে কন্ধমলের বেলঘর থানায় খবর আসে ওই জেলার গুম্মার জঙ্গলে একদল মাওবাদী জড়ো হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শীর্ষনেতাও আছেন। সেই খবর পেয়েই রাতে অভিযানে যায় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ দল। রাতভর তল্লাশি অভিযান চলে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গণেশকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিন মাওবাদীর শনাক্তকরণের কাজ চলছে। নিহতদের মধ্যে এক জন মহিলা সদস্যও রয়েছেন। ঘটনাচক্রে, এই সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা আগে মালকানগিরিতে ২২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন।