বাঙালির পছন্দের খাবার, এই পদগুলি খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ছবি: ফ্রিপিক।
তারকাদের মতো ঝলমলে ত্বক পেতে শুধু প্রসাধনী যথেষ্ট নয়। ডায়েটও প্রয়োজন। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার বা নামী দামি ব্র্যান্ডের জেল মাখলেই যে ত্বকের জেল্লা ফিরবে তা নয়। বরং রোজের কিছু খাবারও শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও পুষ্টি জোগাবে। ত্বক চিকিৎসকদের মতে, বাঙালির শুক্তো থেকে হালকা মাছের ঝোল অথবা তরকারিতে ভাল পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। এই উপাদানগুলি ত্বককে ভিতর থেকে তরতাজা ও জেল্লাদার করে তোলে। উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা কমে। দাগছোপহীন, বলিরেখাহীন, জেল্লাদার ত্বক যদি পেতে হয়, তা হলে জোর দিতে হবে রোজের খাওয়াতেই।
কতটা উপকারী শুক্তো
শুক্তোতে নানা রকম সব্জি থাকে। রাঙা আলু, সজনে ডাঁটা, পেঁপে, কাঁচকলার মতো সব্জি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। রাঙা আলুতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন-এ যা ত্বকের পুষ্টি জোগাবে। সজনে ডাঁটায় থাকে ভিটামিন এ, সি, ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ রোধ করবে। রোজের পাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুক্তো রাখলে তা যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, তেমনি ত্বকও জেল্লাদার করে তুলবে।
পুঁই বা নটে শাক
বাঙালির খাবারে প্রথম পাতে শাক ভাজা থাকেই। পালং, পুঁই বা নটে শাক যা-ই খান না কেন তার থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ পাবে শরীর। যে কোনও শাকই ভিটামিন এ, সি, ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই উপাদানগুলি ত্বককে ‘ডিটক্স’ করে। অকালবার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
বিউলির ডাল
বিউলির ডালে থাকা জ়িঙ্ক, বায়োটিন ও প্রোটিন ত্বকের যে কোনও ক্ষত মেরামত করতে পারে। উন্মুক্ত রন্ধ্র ও ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা বিউলির ডাল খেলে উপকার পেতে পারেন। এই ডাল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয় এবং ত্বককে ‘এক্সফোলিয়েট’ করতে পারে।
মাছের ঝোল
মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। তা ছাড়া ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি-ও থাকে মাছে। ত্বক টানটান রাখতে, ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকর। মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।