Skin Fatigue

ক্লান্ত হয় ত্বকও! ‘স্কিন ফেটিগ’ নিয়ে ভুগছেন অনেকেই, কী এই সমস্যা?

নামে যতই নতুনত্ব থাক, সমস্যাটা কিন্তু বহু পুরনো। ঘুম থেকে উঠে যে দিন দেখেন, মুখ ফোলা লাগছে, চোখের তলায় ফোলা ভাব, ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে ত্বকের রং, সে দিন জানবেন, ত্বক খুবই ক্লান্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১১
Understand how skin fatigue and seasonal changes affect skin health

ত্বকের ক্লান্তি বাড়ছে, কী এই সমস্যা? ফাইল চিত্র।

দিনভর পরিশ্রমে শরীর ক্লান্ত হয়। মনের ক্লান্তিও বাড়ে। সেই সঙ্গে ক্লান্ত হয় ত্বকও। শরীরের যেমন ক্লান্তি-ঝিমুনি আছে, তেমনটা আছে ত্বকেরও। এর গালভরা নাম ‘স্কিন ফেটিগ’। নামে যতই নতুনত্ব থাক, সমস্যাটা কিন্তু বহু পুরনো। ঘুম থেকে উঠে যে দিন দেখেন, মুখ ফোলা লাগছে, চোখের তলায় ফোলা ভাব, ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে ত্বকের রং, সে দিন জানবেন, ত্বক খুবই ক্লান্ত। সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। কেবল কম ঘুম ও ত্বকের পরিচর্যার অভাবেই যে এমন হয়, তা নয়। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। ইদানীংকালে ত্বকের ক্লান্তি বা ‘স্কিন ফেটিগ’ নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। সমস্যাটা ঠিক কী?

Advertisement

স্কিন ফেটিগ কেন হয়?

এমন এক অবস্থা, যেখানে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়, নিস্তেজ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। সারা দিন ঘোরাঘুরির পর শরীর যেমন ক্লান্ত হয়, তেমনই ক্লান্তির ছাপ পড়ে ত্বকেও। এই ক্লান্তি যে বিশ্রাম নিলেই চলে যাবে, তা কিন্তু নয়। বরং দিনের পর দিন তা ত্বককে আরও নিস্তেজ ও জেল্লাহীন করে তুলবে। আসলে ‘স্কিন ফেটিগ’ হলে ত্বকের মধ্যে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য হারিয়ে যায়। ত্বকের কোষে প্রোটিনের উৎপাদন কমে যায়, ফলে মৃত কোষ জমতে শুরু করে। ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতি আর হয় না, এতে ত্বক বুড়িয়ে যায় অকালেই।

ত্বকের ক্লান্তি সহজে যায় না।

ত্বকের ক্লান্তি সহজে যায় না। ছবি: এআই

ক্লান্ত ত্বক যে কেবল জেল্লাহীন হয়, তা নয়। এতে দাগছোপও পড়ে। বলিরেখায় ভরে যায়। চোখের নীচের মাংসপেশি ফুলে যায়, ফলে মুখ-চোখ ফোলা লাগে। ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে, ভিতর থেকে শুকিয়ে রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। ‘স্কিন ফেটিগ’ দিনের পর দিন থাকলে চর্মরোগের আশঙ্কাও বাড়ে।

প্রতিকারের উপায় কী?

কম ঘুম, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের ক্লান্তি বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসও দায়ী। ত্বকের পরিচর্যা ঠিকমতো না করলেও এই সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া দূষণ, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মিও এর জন্য দায়ী। এর থেকে রেহাই পেতে হলে প্রথমে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বন্ধ করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি এবং ফাস্ট ফুড খাওয়া চলবে না।

পর্যাপ্ত জল পান ও রাতে ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুম জরুরি।

নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন করতে হবে। এতে ত্বকের কোষে কোলাজেন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়বে।

সকালে ও রাতে মৃদু ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, সপ্তাহে অন্তত দু’বার স্ক্রাব করা জরুরি। বেসন, দুধ, মুসুর ডাল বাটা ও মধু মিশিয়ে বাড়িতেই স্ক্রাবার বানিয়ে নিন। দই ও অ্যালো ভেরা দিয়েও ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন।

শসার রস এবং অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ত্বককে শীতল করে, ও আর্দ্রতা ধরে রাখে।

অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, ক্লান্তি দূর হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন