ছবি : সংগৃহীত।
রান্নাঘরের অতি পরিচিত উপাদান হলুদ। অথচ তার ব্যবহার অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু রান্নাতেই হয়ে থাকে। অনেকে পুজোর কাজেও হলুদ ব্যবহার করেন। তবে তার বাইরে আরও অনেক ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে হলুদ গুঁড়ো। তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া ব্যবহার জেনে নিন।
ক্ষত নিরাময় ও প্রাথমিক চিকিৎসায়
হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ছোটখাটো চোট বা ক্ষতের চিকিৎসায় এটি কাজে লাগতে পারে।
১। ছোটখাটো কেটে যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার সমস্যায় কাজে লাগানো যেতে পারে। ক্ষতস্থানে পরিষ্কার হলুদের গুঁড়ো লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
২। ব্যথা বা ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। পেশির ব্যথা বা পেশিতে আঘাত লেগে বা মচকে গিয়ে ব্যথা হলে সেই জায়গায় চুন ও হলুদ গরম করে প্রলেপ দিলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
গৃহস্থালি ও বাগানের কাজে
ঘরদোর পরিষ্কার রাখা এবং গাছের যত্নেও হলুদ ব্যবহার করা যায়।
১। পিপড়া ও পোকা তাড়াতে কার্যকরী। ঘরের যে সমস্ত জায়গায় পিপড়ার উপদ্রব বেশি, সেখানে হলুদের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। পিপড়া হলুদের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। দ্রুত ওই জায়গা থেকে দূর হবে।
২। গাছে হওয়া ছত্রাক বা কীট দমনেও কাজে লাগতে পারে। অনেক সময়েই গাছের গোড়ায় বা পাতায় ছত্রাক ধরে গাছ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় গাছে ছোট ছোট পোকা বা পিঁপড়েও হয়। জলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে স্প্রে করলে গাছ সতেজ থাকে। এটি একটি ভাল জৈব কীটনাশক।
ত্বকের যত্ন ও ব্রণ কমাতে
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এতে থাকা ‘কারকিউমিন’ ত্বকের দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
১। এটি বডি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যাতে পারে। বেসন, টক দই এবং সামান্য হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে স্নানের আগে পুরো শরীরে মাখলে মৃতকোষ দূর হবে এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল।
২। ব্রণের সমস্যা কমাতেও ব্যবহার করা যাবে। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। চন্দনের গুঁড়ো ও হলুদের মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখলে দ্রুত সমাধান পেতে পারেন।