Zohran Momdani’s Lunch

নিউইয়র্কের মেয়রজীবনের সূচনায় আলুর দম! মীরা-পুত্র জ়োহরানের মধ্যাহ্নভোজনে পাতে আর কী কী

মেয়রজীবনের প্রথম দিন নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি নেপালি রেস্তরাঁয় পেটপুজো সারলেন মীরা নায়ারের পুত্র জ়োহরান মামদানি। পাতে আলুর দম ছাড়া আর কী কী ছিল?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১৪
জ়োহরান মামদানি।

জ়োহরান মামদানি। ছবি: রয়টার্স।

কষানো আলুর দম চেখেই নতুন জীবনে পা রাখলেন জ়োহরান মামদানি। নিউ ইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র বলে কথা! হাজার হাজার চোখ তাঁর দিকে। মীরা নায়ারের পুত্র তাঁর নতুন মেয়রজীবনের প্রথম দিনে পেটপুজো করলেন দক্ষিণ-এশীয় খাবার দিয়ে। সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর সহকর্মী, রাজনীতিক আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কোর্তেজ়। সমাজমাধ্যমে সক্রিয় মেয়র তাঁর মধ্যাহ্নভোজের ছবি দিলেন ইনস্টাগ্রামে।

Advertisement

দিনভর প্রশাসনিক বৈঠক এবং সাক্ষাৎকারের মাঝে দুপুরের খাওয়ার সময়টা বড়ই আনন্দের ছিল জ়োহরানের কাছে। আর তাই নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি নেপালি রেস্তরাঁয় পেটপুজো সারলেন মেয়র। গত ১০ মাস ধরে মামদানির ভোট-প্রচার থেকেই জানা যায়, নিজের শিকড়ের কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন মীরা-পুত্র। তাই দক্ষিণ-এশীয় খাবার খেয়েই প্রথম দিনটা কাটালেন। পাতে ছিল, চিলি চিকেন, নরম টিংমো ব্রেড এবং আলুর দম। পাশে কাচের গ্লাসে ভর্তি দুধ চা।

জ়োহরানের মধ্যাহ্নভোজের ছবি।

জ়োহরানের মধ্যাহ্নভোজের ছবি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

টিংমো ব্রেড তিব্বতের এক ঐতিহ্যবাহী পদ। সাধারণত সঙ্গে কোনও ঝোল বা সব্জি বা মাংসের পদের সঙ্গে খাওয়া হয়। টিংমো বা টিং মোমো (তিব্বতি ভাষায় টিং-এর অর্থ মেঘ আর মোমো মানে বাষ্পে বানানো ডাম্পলিং। অর্থাৎ, মেঘের মতো ডাম্পলিং।) ভাপে সেদ্ধ করা ডাম্পলিংয়ের মতো খেতে। দেখতেও মোমোর মতো। কেবল তাতে থাকে ফুলের মতো একাধিক স্তর। ভাঁজে ভাঁজে স্তরগুলি একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকে। নেপালি কায়দায় বানানো বা উত্তর ভারতীয় রেসিপিতে তৈরি আলুর দমের সঙ্গে এই ধরনের রুটি খেতে মন্দ লাগে না। সঙ্গে যদি থাকে চিলি সসে তৈরি মুরগির মাংস, তা হলে সোনায় সোহাগা! মুচমুচে চিকেনের টুকরো রাঁধা হয়েছে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, বেলপেপার এবং টকটক সসে মিশিয়ে।

তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী খাবার টিংমো, আর আলুর দম।

তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী খাবার টিংমো, আর আলুর দম। ছবি: ক্যাফে কালিম্পং।

আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলমান মেয়র মামদানির পাতে ঘুচে গিয়েছে ভৌগোলিক আর সাংস্কৃতিক দূরত্ব।

Advertisement
আরও পড়ুন