parenting tips

সন্তান মোবাইলে আসক্ত! ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার, ছোটদের একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে রইল ৫ পরামর্শ

স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের একাগ্রতাও কমে আসছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিভাবকেরা কয়েকটি কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৩৩
Here are 5 ways to help your child stay focused in a world full of digital distractions

— প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।

সময়ের সঙ্গে ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’বাড়ছে। মোবাইল, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট বাড়িতে ছোটদের পড়াশোনার সুবিধা করে দিয়েছে। ইন্টারনেটের দৌলতে সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু দিনের একটা বড় সময় ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখার ফলে ছোটদের একাগ্রতাও কমেছে। পড়াশোনার জন্য ডিজিটাল পর্দা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেক সময়ে তারা অন্যমনস্ক হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন।

Advertisement

১) পড়াশোনার বাইরে ছোটদের স্ক্রিন টাইম কমানো উচিত। অনেক সময় বাড়িতে বড়রা টিভি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ছোটরাও আকর্ষিত হয়। তার ফলে তাদের কথোপকথন এবং শব্দচয়নে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক অ্যাপ এবং কার্টুনের বাইরে ছোটরা যাতে ডিজিটাল পর্দা না ব্যবহার করে তা খেয়াল রাখা উচিত।

২) ছোটদের মন ভাল রাখতে এবং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে শরীরচর্চা। কিন্তু মোবাইলে আসক্ত সন্তানেরা অনেক সময়ই খেলাধুলোর প্রতি বিমুখ হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দিনে অন্তত ১ ঘণ্টা খেলাধুলো অল্পবয়সিদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।

৩) চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রতিদিন ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু স্ক্রিন টাইমের জন্য অনেক সময়েই তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়ে যায়। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের ঘুমের অভ্যাস তৈরি করতে পারলে স্ক্রিন টাইম কমবে। পরোক্ষে একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে।

৪) পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং অভিভাবকদের নজরদারি ছোটদের স্ক্রিন টাইম কমাতে পারে। যেমন পড়াশোনার সময়ে মোবাইল না দেখা বা শোয়ার ঘরে ডিজিটাল পর্দা নিষিদ্ধ করার মতো ছোট ছোট নিয়ম চালু করা যায়। তার ফলে ছোটদের মস্তিষ্কের উপর চাপ কমবে। মনঃসংযোগের পরিসরও বৃদ্ধি পাবে।

৫) চিকিৎসকেদের মতে, সামাজিক মেলামেশা ছোটদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই মোবাইল ছেড়ে তারা যদি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলো বেশি করে, বা আঁকা, লেখা বা অন্যান্য শখ তৈরি করতে পারে, তা হলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। একই সঙ্গে সামাজিক মেলামেশা তাদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Advertisement
আরও পড়ুন