Parenting Tips

পড়াশোনা ভয়ের নয় মজার হোক! সন্তানকে পড়ায় উৎসাহী করে তুলতে কী করবেন বাবা-মায়েরা?

না পারা নিয়ে বকাবকি, অন্যের সঙ্গে তুলনা সন্তানকে পড়াশোনার প্রতি বিমুখ করে তুলতে পারে। বদলে কী ভাবে তাদের ছোট থেকে বইমুখী করে তোলা যেতে পারে? জেনে নিন সহজ কয়েকটি কৌশল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৭
পড়াশোনায় থাক খুশি। কী ভাবে ছোট থেকে পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন সন্তানকে?

পড়াশোনায় থাক খুশি। কী ভাবে ছোট থেকে পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন সন্তানকে? ছবি: সংগৃহীত।

অঙ্ক ভুল করলেই বেতের বাড়ি, স্কুলের পড়া না করলেই বেদম বকুনি। এ ভাবেই বড় হয়েছেন অনেকে। সে কারণেই অভিভাবকদের কারও কারও ধারণা, সন্তানকে ধমক না দিলে লেখাপড়া করানো যায় না। কিন্তু মনোবিদেরা বলেন অন্য কথা। গায়ে হাত তোলা, জোরে চেঁচানো নয়— বরং ছোট থেকেই শিশুর মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করাই জরুরি। ধমক দিলে, তার প্রতিটি ভুল নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা করলে সন্তানের পড়ার প্রতি ভয় তৈরি হতে পারে। একটু আদর, ভাল করে বুঝিয়েও তাদের বইমুখী করা যায়। শেখানো যায় মজার ছলেও।

Advertisement

কোন অভ্যাসে পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব?

রুটিন: মনোবিদ থেকে পেরেন্টিং কনসালট্যান্টরা বলেন, ছোটদের জীবনেও একটা রুটিন থাকা দরকার। যখন তারা বড় হচ্ছে, সেই সময় যদি পড়তে বসার সময় নির্দিষ্ট করা যায়, শিশুদের জন্য তা ভাল হয়। ওই সময়ে তাকে পড়তে বসতে হবে, এমন ধারণা তৈরি হয়। তৈরি হয় অভ্যাসও।

পড়ায় আনন্দ: পড়াশোনার বিষয় যদি বিরক্তিকর মনে হয়, যে কোনও পড়ুয়া আগ্রহ হারাতে পারে। বইয়ের পাতা খুলে পড়ালেই পড়াশোনা হয় না সবসময়। তার চেয়ে বরং বিভিন্ন মডেল ব্যবহার করে, নানা রকম অ্যাপের সাহায্য নিয়েও তাকে শেখানো যেতে পারে। খেয়াল রাখা দরকার, পড়া যেন বোঝা নয়, মিশে থাকে আনন্দ।

বিরতি: একটানা পড়াশোনায় ধৈর্য হারাতে পারে খুদে। তার চেয়ে গল্পের ছলেও পড়া হতে পারে। পড়ার মাঝে একটু বিরতি, একটু গল্প, একটু লেখা— এ ভাবেও তাকে বসিয়ে রাখা সম্ভব। পড়াশোনার বিষয়বস্ত নিয়ে গল্পের ছলেও আলোচনা হতে পারে। রাগ দেখানো বা ধমক নয়, বরং সহজ কথাতেই ছোটদের ভোলানো যেতে পারে।

খেলার ছলেই শেখা: ছোটরা খেলতে খেলতেই শেখে। ছোটদের জন্য ল্যাপটপ পাওয়া যায় যেখান খেলার মাধ্যমেই সে গুনতে শেখে, কোনও জিনিস আঁকার রং চেনে। রয়েছে রকমারি অ্যাপও। তা ছাড়া, পরিবেশ, দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়েও বাস্তবসম্মত ভাবে তাকে শেখানো যায়। সব্জি চেনানোর জন্য বাজার থেকে আনা সব্জি ব্যবহার করা যায়। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার খুব জরুরি।

অভিভাবকদের আচরণ: মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ বলেন, ‘‘শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। বড়রা কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে কী করছেন নিঃশব্দে অনুসরণ করে তারা।’’ সন্তানকে পড়ানোর সময় বাবা বা মা ফোন দেখলে, ফোনে কথা বললে, তার মনোযোগও বিক্ষিপ্ত হবে। পড়ার সময় যেমন পড়ুয়া ফোন নেবে না, তেমনই যিনি পড়াচ্ছেন তাঁকেও সতর্ক হতে হবে। আবার যদি বাবা বা মাকে সন্তান বই পড়তে দেখে, বাড়িতে নানা রকম বই থাকে— তার মধ্যেও আগ্রহ বাড়বে।

Advertisement
আরও পড়ুন