উলের পোশাকের যত্নে কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি : সংগৃহীত।
শীত এসে পড়েছে। মরসুম বদলের সঙ্গে বদলে যায় ফ্যাশনও। শীত মানেই শীতপোশাকগুলি আবার বেরিয়ে পড়ে আলমারি থেকে। দু’টো মাস সোয়েটার, জ্যাকেট, শাল নিয়ে একটু কায়দা না করলেই নয়। সোয়েটার, জ্যাকেট শুধু পরলেই হল না। তার যত্নআত্তিও জরুরি। বিশেষ করে উলের পোশাকের ঠিক ভাবে যত্ন না নিলে, কয়েক দিনের মধ্যে রোঁয়া ওঠা শুরু হবে। কাচা এবং শুকোনোর ভুলে নষ্ট হতে পারে সোয়েটারের জেল্লাও। জেনে নিন সোয়টার কী ভাবে ভাল রাখবেন।
১) উলের পোশাক সব সময় যে দোকানেই কাচতে দিতে হবে এমন কোনও মানে নেই। ঘরেই ধুতে পারেন উলের কাপড়। উলের পোশাক গরম জলে ভুলেও ধোবেন না। কড়া ডিটারজেন্ট উলের চরম শত্রু। তাই কম ক্ষারের তরল সাবান ব্যবহার করুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে ভিজিয়ে রাখুন। তবে মিনিট পনেরোর বেশি নয়। তার পর সাবধানে অল্প ঘষে পরিষ্কার জলে বার দুয়েক ধুয়ে নিলেই হবে। সাবানের পরিবর্তে শ্যাম্পু বা শীতের পোশাকের জন্য বিশেষ কার্যকর এমন কোনও ডিটারজেন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
২) উলের পোশাক কাচার পর বেশি নিংড়াবেন না। প্রয়োজনে কলের উপর রেখে জল ঝরিয়ে নিন।
৩) উলের পোশাক ঝুলিয়ে শুকোতে দেবেন না। ছাদে কিংবা বারান্দায় যেখানে ভাল রোদ আসে এমন জায়গায় মাটিতে তোয়ালে পেতে শুকোতে দিন।
৪) শীতের পোশাক ঘন ঘন ধোবেন না। এতে পোশাকের কোমলতা আর ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। সোয়েটারে কিংবা শালে অল্প কোথাও দাগ লাগলে সেই অংশটুকু ধুয়ে নিন। পুরো পোশাকটি কাচার দরকার নেই।
৫) ঘাম-যুক্ত উলের পোশাক আলমারিতে তুলে রেখে দেবেন না। এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। রোদে শুকিয়ে তার পরেই আলমারিতে তুলুন।
৬) ইস্ত্রি করার আগে উলের জামাকাপড় উল্টো করে নিয়ে তারপর আয়রন করুন।
৭) আলমারি কাঠের হলে উলের কাপড়ে পোকামাকড় আক্রমণের ঝক্কি থাকে। সে ক্ষেত্রে একটা কাগজে কয়েকটা কর্পূরের টুকরো আর কয়েকটা গোটা গোলমরিচ রেখে মুরে নিন। আলমারির ফাঁকে ফাঁকে রেখে দিন। এই উপায় পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাবে উলের বস্ত্র।