Xi Jinping

বার বার হার্ট অ্যাটাক! জিনপিং কি অসুস্থ? না কি ষড়যন্ত্রের শিকার? কবর খুঁড়তে গিয়ে ‘অদৃশ্য’ চিনা প্রেসিডেন্টের কুর্সিবদল?

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে লম্বা সময় ধরে প্রকাশ্যে দেখতে না পাওয়ায় তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এ বার কি কোনও রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মুখ দেখবে কমিউনিস্ট চিন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ১২:৩০
০১ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

শি জিনপিং ‘ভ্যানিশ’! রহস্যজনক ভাবে হঠাৎই বেমালুম ‘অদৃশ্য’ হয়ে গিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক সভা কিংবা দলীয় কাজ— লম্বা সময় ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। কোথায় উবে গেলেন বেজিঙের সর্বময় কর্তা? তাঁকে গুম করেছেন ষড়যন্ত্রকারীরা? না কি তিনি অসুস্থ? খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই সমস্ত প্রশ্নে দুনিয়া জুড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। শুধু তা-ই নয়, শি-র কুর্সিদখলকে কেন্দ্র করে গণবিক্ষোভে ড্রাগনভূমি ছারখার হতে পারে বলেও সতর্ক করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ।

০২ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

চলতি বছরের ৬ জুলাই ব্রাজ়িলের রিয়ো ডি জেনেইরোতে বৈঠক করেন ‘ব্রিকস’ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা। সেখানে একমাত্র গরহাজির ছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। পুতিন সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের ২১ মে শেষ বার প্রকাশ্যে আসেন শি। তার পর ১২ দিনের জন্য রহস্যজনক ভাবে ‘গায়েব’ ছিলেন তিনি। ৩০ জুন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশিঙ্কে বেজিং সফরে গেলে তাঁর সঙ্গে অবশ্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জিনপিং। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে চিনা প্রেসিডেন্টকে নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য দেন তিনি।

০৩ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

জুলাইয়ের গোড়ায় আলেকজ়ান্ডার লুকাশিঙ্কে জানান, বেজিঙের প্রেসিডেন্ট-প্রাসাদে নয়, ছোট সাদামাঠা একটি বাড়িতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শি। এতে বেশ আশ্চর্য হয়ে যান তিনি। কারণ, এর আগে কোনও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ ভাবে দেখা বা বৈঠক করতে হয়নি তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, আলোচনার সময় জিনপিঙের পাশে হাজির ছিলেন না কোনও সরকারি আধিকারিক বা অনুবাদক। শারীরিক ভাবেও তাঁকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। সূত্রের খবর, ২১ জুনের পর লুকাশিঙ্কেকে বাদ দিলে আর কোনও বিদেশি অতিথির সঙ্গে দেখা করেননি জিনপিং।

Advertisement
০৪ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

বেলারুশের প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্যের পর শি-কে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চিনের সরকারি গণমাধ্যম ‘পিপল্‌‌‌‌‌‌স নিউজ়’। সেখানে বলা হয়, মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জিনপিং। বার বার ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হচ্ছেন তিনি। কিন্তু, এই প্রতিবেদনকে ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেয় অধিকাংশ পশ্চিমি গণমাধ্যম। তাঁদের দাবি, শি-র উপর প্রতিশোধ নিতে তাঁকে কুর্সি থেকে সরাতে চাইছেন ড্রাগনভূমির সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। জিনপিং দায়িত্বভার সামলানোর আগে (পড়ুন ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল) ওই পদে ছিলেন তিনি।

০৫ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

শি-কে যে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে, দু’টি উদাহরণের সাহায্যে তা বোঝানোর চেষ্টা করেছে পশ্চিমি গণমাধ্যম। প্রথমত, গত ৬৬ বছর ধরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ও অতিথিদের স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে বিশেষ একটি নিয়ম মেনে আসছে চিনা প্রশাসন। সাধারণত, বেজিঙের গ্র্যান্ড হলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, গত ২১ মে-র পর থেকে ওই ধরনের সমস্ত অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন জিনপিং। এ ছাড়া গত ২ মে ‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টি’ বা সিসিপির শীর্ষনেতাদের বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল হয়ে যায়।

Advertisement
০৬ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

সিসিপির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাধ্যতামূলক ভাবে এক বার বৈঠক করেন দলের শীর্ষনেতারা। সূত্রের খবর, ২ মে-র আগে শেষ বার মিলিত হয়ে জিনপিংকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন তাঁরা। এর পরেই ড্রাগনভূমির গণমাধ্যমগুলি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকেন খোদ প্রেসিডেন্ট। ২১ মে-র পর প্রথম পাতায় শি-র কোনও ছবি প্রকাশ করেনি বেজিঙের সরকারি সংবাদপত্র ‘পিপল্‌স নিউজ়’। পাশাপাশি, তাঁকে নিয়ে কোনও খবরও ছাপেনি ওই খবরের কাগজ।

০৭ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, গত কয়েক মাসে সিসিপি এবং সরকারের শীর্ষস্থানে থাকা শি-ঘনিষ্ঠদের রহস্যজনক ভাবে এক এক করে সরিয়েছেন জিনপিং-বিরোধীরা। উদাহরণ হিসাবে জেনারেল শু চিলিয়াঙের কথা বলা যেতে পারে। ‘চাইনিজ় সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। তাঁকে একরকম লালফৌজের সেনাপ্রধান বলা যেতে পারে। হঠাৎ করে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরে এ ব্যাপারে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) বিস্ফোরক দাবি করেন বেজিঙের সাংবাদিক জাও লানজ়িয়ান। তাঁর দাবি, দল এবং প্রশাসনের তরফে পৃথক ভাবে শু-র উপরে নানা ইস্যুতে মারাত্মক চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। সেই ধাক্কা সহ্য করতে না পারায় হৃদ্‌যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাঁর।

Advertisement
০৮ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

শি-র সরকারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন জেনারেল শু। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর মৃত্যুর ফলে গতি পেয়েছে জিনপিঙের কুর্সিবদলের ষড়যন্ত্র। তবে শুধু মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান নন, হি বিডং, মিয়াও হুয়া এবং জ্যাক ইয়ানশিয়ঙের মতো প্রশাসন ও বাহিনীর বহু শীর্ষ আধিকারিককে গত কয়েক মাসে পর্দার আড়ালে চলে যেতে হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন শি-ঘনিষ্ঠ। ফলে পর পর বন্ধু হারিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরোধীদের পাতা ফাঁদে পড়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

০৯ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

তবে কমিউনিস্ট চিনের ইতিহাসে এই ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। চিনা বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জেনিফার জ়েং জানিয়েছেন, সিসিপি কখনওই কোনও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে একবারে ছেঁটে ফেলে না। বর‌ং ধীরে ধীরে ক্ষমতা হ্রাস করে তাঁকে গুরুত্বহীন করে ফেলে বেজিঙের শাসনক্ষমতায় থাকা ওই সমাজতন্ত্রী দল। উদাহরণ হিসাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়া গুয়াফে‌ঙের কথা বলা যেতে পারে। উদারনৈতিক অর্থনীতির প্রবল সমর্থক ছিলেন তিনি। এই নিয়ে দলের অন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে জমতে থাকে ক্ষোভ। ১৯৭৮ সালে শি-র মতোই হঠাৎ রাজনীতি থেকে একরকম ‘গায়েব’ হয়ে যান তিনি। পরে অবসরগ্রহণে তাঁকে বাধ্য করে সিসিপি।

১০ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

একই কথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াঙের ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট হয়ে জিনপিংই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তার পরও তিন বছর চিনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। শেষে হুয়ায়ের মতো তাঁকেও অবসর নিতে বাধ্য করে সিসিপি। চলতি বছরের ৯ জুন ফাঁস হয় ড্রাগনভূমির অন্দরের ‘হাঁড়ির খবর’ সংক্রান্ত রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট। সেখানেও শি বার বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও রিপোর্টটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, গত জুনে জেনারেল শু-র অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দেন জিনপিং। সেখানে এক বারের জন্যেও তাঁকে অসুস্থ বলে মনে হয়নি।

১১ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

আর তাই বিশ্লেষকদের দাবি, অসুস্থতা নয়, রাজনৈতিক ভাবে শি-কে কুর্সি থেকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছে সিসিপিতে থাকা তাঁর বিরোধীরা। যদিও এর জন্য জিনপিংকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরই চিনের যাবতীয় ক্ষমতা নিজের হাতের মুঠোয় নিতে শুরু করেন শি। ক্ষমতালাভের পর দল তথা প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে এক এক করে নিজের অনুগতদের জায়গা করে দেন তিনি। অন্য দিকে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার হন শি-ঘনিষ্ঠ শু। জিনপিং নিজে ‘চাইনিজ় সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’ চেয়ারম্যান হয়ে বসেন।

১২ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

ড্রাগনভূমির বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার চালানোর জন্য রয়েছে ২০৪ সদস্যের একটি সেন্ট্রাল কমিটি। সংবাদমাধ্যম বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হয়ে এই সংগঠনের ১৭০ জনকে শুধুমাত্র দুর্নীতি ও দলের অনুশাসন ভঙ্গের অভিযোগে জেলে পোরেন শি। এঁদের অধিকাংশ ছিলেন কোনও না কোনও প্রদেশের গভর্নর বা ডেপুটি গভর্নর। এ ছাড়া সিসিপির ১৩ জন নেতা-কর্মীর উপরেও নেমে আসে তাঁর কোপ। এমনকি এঁদের মধ্যে কয়েক জনকে গুম খুনের অভিযোগও রয়েছে জিনপিঙের বিরুদ্ধে।

১৩ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

২০২২ সালের বার্ষিক সম্মেলনে শি-কে দলের জেনারেল সেক্রেটারি এবং চেয়ারম্যান ঘোষণা করে সিসিপি। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে মারাত্মক একটা ভুল করে বসেন জিনপিং। সম্মেলন চলাকালীন তাঁর নির্দেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওকে একরকম অপমান করে বার করে দেওয়া হয়। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই ঘটনার জেরেই শি-র পতন তরান্বিত হয়েছে। কারণ, ড্রাগনভূমির যুব সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে দল এবং জনগণের মধ্যে হু-র আলাদা প্রভাব রয়েছে। যাবতীয় ক্ষমতা মুঠোবন্দি করার বদলে বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে বিশ্বাস করেন তিনি।

১৪ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ওই ঘটনার পরই শি-কে কুর্সি থেকে হঠাতে দলের ভিতরে ঘোঁট পাকাতে থাকেন হু। ধীরে ধীরে জিনপিং-ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে বাহিনীর শীর্ষপদে নিজের পছন্দের জেনারেলদের বসান তিনি। প্রশাসনের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে সমস্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।

১৫ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

এই পরিস্থিতিতে কিছু দিন আগে সিসিপিকে একটি খোলা চিঠি লেখেন হু। সেখানে শি-র কূটনৈতিক এবং আর্থিক ব্যর্থতার উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, জিনপিঙের নীতির জন্যেই ভুল পথে চালিত হচ্ছে দেশ। এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই খুব দ্রুত নতুন কাউকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।

১৬ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

এখন প্রশ্ন হল, শি সরে গেলে কে হবেন ড্রাগনভূমির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির একাংশ এর জন্য তিন জনের নাম বলেছে। তাঁরা হলেন ওয়াং ইয়াং, হু চুনওয়া এবং জেনারেল জ্যাং হুইকশিয়া। ২০১৮ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন ওয়াং। জিনপিংই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। যদিও আরও এক বার ওই পদ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

১৭ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

সিসিপির শীর্ষনেতা হু চুনওয়ার আবার চিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ২০২২ সালে দলীয় সম্মেলনের সময় তালিকা থেকে তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শি জিনপিঙের বিরুদ্ধে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কমিউনিস্ট নেতার বেজিঙের প্রাদেশিক সরকারগুলির উপর দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

১৮ ১৮
Chinese President Xi Jinping regime may change in a political coup due to his dictatorship

জেনারেল জ্যাঙের সঙ্গে আবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিনতাওয়ের রয়েছে রক্তের সম্পর্ক। বর্তমানে শু-র স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, ‘চাইনিজ় সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’ ভাইস চেয়ারম্যান পদ পেয়েছেন তিনি। বেজিঙে শেষ পর্যন্ত কুর্সিবদলে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান হলে সেটা শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষক মহলে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ড্রাগনভূমিতে গৃহযুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি