ISRO Satellite

ভারতের মাটি থেকে এই প্রথম এত ভারী উপগ্রহের উৎক্ষেপণ! ইসরোর ‘বাহুবলী’ বয়ে নিয়ে গেল ৪৪১০ কেজির স্যাটেলাইট

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে যে সব কাজে ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল সামরিক নজরদারি। যদিও ইসরোর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৯
ইসরোর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ।

ইসরোর মহাকাশযান উৎক্ষেপণ। ছবি: পিটিআই।

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘সিএমএস-০৩’। রবিবার বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে নির্ধারিত সময়েই উৎক্ষেপণ করা হল এই ভারী কৃত্রিম উপগ্রহটি। ৪৪১০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে ভারতের তৈরি এলভিএম৩-এম৫ রকেট। ভারতের মাটি থেকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট (জিটিও)-তে প্রতিস্থাপন করা হবে উপগ্রহটিকে।

Advertisement

ইসরো এর আগে সাড়ে পাঁচ হাজার কেজিরও বেশি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। তবে তা ভারতের মাটি থেকে পাঠানো হয়নি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ফরাসি সংস্থা ‘এরিয়ানস্পেস’-এর সাহায্য নিয়ে ৫,৮৫৪ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ জিস্যাট-১১ মহাকাশে পাঠিয়েছে ভারত। সেটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকায় ফরাসি ভূখণ্ড ফ্রেঞ্চ গুয়ানার কোউরুও থেকে। ওই সময় ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল ‘এরিয়েন-৫ ভিএ-২৪৬’ রকেট।

এ বার ৪,৪১০ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল ইসরো। ভারতের মাটি থেকে এর আগে এত ভারী কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ মহকাশে পাঠানো হয়নি। এই উৎক্ষেপণের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভারতের তৈরি রকেটেই এটি মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এই রকেটকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘বাহুবলী’। ইসরোর এই ‘বাহুবলী’ রকেটটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৪৩ মিটার।

ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এলভিএম৩ রকেটগুলির মধ্যে এটি পঞ্চম সংস্করণ। এটি চার হাজার কেজিরও বেশি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহকে কম খরচে জিটিও-তে পৌঁছে দিতে পারে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে যে সব কাজে ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল সামরিক নজরদারি। যদিও ইসরোর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, সিএমএস-০৩ হল যোগাযোগের জন্য একটি বহুমাত্রিক কৃত্রিম উপগ্রহ। ভারতীয় ভূখণ্ড-সহ ভারত মহাসাগরীয় বিস্তীর্ণ এলাকায় এটি পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

Advertisement
আরও পড়ুন