India vs England 2025

৪ উইকেট নিয়েও বাংলার আকাশদীপ বলছেন, পরের ম্যাচে অনিশ্চিত!

ম্যাচ শুরুর আগে কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন আকাশ দীপকে। তাঁদের পরামর্শ আত্মবিশ্বাসী করে ছিল বাংলার জোরে বোলারকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:৩৮
Picture of Akashdeep

আকাশদীপ। ছবি: পিটিআই।

মহম্মদ সিরাজ ৬ উইকেট পেলেও এজবাস্টন টেস্টে আকাশদীপের কৃতিত্ব কম নয়। দু’বার দু’টি করে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ধাক্কা দিয়েছেন। বস্তুত, তিনি হ্যারি ব্রুককে আউট করে জেমি স্মিথের সঙ্গে ৩০৩ রানের জুটি ভেঙে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। তবু সিরিজ়ের তৃতীয় টেস্টে তিনি অনিশ্চিত। শুক্রবার খেলার শেষে সংবাদমাধ্যমকে এমন আশঙ্কার কথাই শুনিয়েছেন বাংলার জোরে বোলার নিজেই।

Advertisement

কেন ৮৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েও নিশ্চিত নন আকাশদীপ? জসপ্রীত বুমরাহের পরিবর্ত হিসাবে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া আকাশদীপ বলেছেন, ‘‘তৃতীয় টেস্ট নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না। এই ম্যাচটা শেষ হওয়ার পর ভাবা যাবে। পরের ম্যাচে আমি খেলব কিনা জানি না। দল সিদ্ধান্ত নেবে। এটা সম্পূর্ণ দলের ব্যাপার। আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ম্যাচের আগের দিন আমরা প্রথম একাদশ জানতে পারি। তখনই জানতে পারব, আমাকে খেলানো হবে কিনা।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আপাতত এই টেস্টের বাকি দু’দিন আমাদের ভাল খেলতে হবে। ম্যাচটা জিততে হবে। বাকি দু’দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

আকাশদীপ জানিয়েছেন, মনে তিনি কোনও দ্বিধা রাখেন না। সব সময় খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সুযোগ পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে খুব একটা ভাবি না। জানি আমাকে যখন দলের দরকার হবে, তখন ঠিকই খেলব। তার জন‍্য নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করি। হয়তো ধারাবাহিক ভাবে খেলার সুযোগ হয় না। তার মানে এই নয় প্রস্তুত থাকব না। হাতে সময় থাকলে নিজের প্রস্তুতিতে জোর দিই। খেললে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি সব সময়।’’

বুমরাহ দ্বিতীয় টেস্ট না খেলায় মাঠে সিনিয়র হিসাবে পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজকে। তা নিয়ে আকাশদীপ বলেছেন, ‘‘মাঠে আমরা সব সময় পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি। বল করার সময়ও আলোচনা করি। কী করলে ভাল হচ্ছে। কোনটা কাজে আসছে না। আমি বল করার সময় সিরাজ পরামর্শ দেয়। আবার ও বল করার সময় আমিও দরকারে পরামর্শ দিই। এই ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের চাপে রাখা। যতটা সম্ভব চাপ তৈরি করা। এই কাজটা জুটিতেই করতে হয়। ২২ গজের দু’প্রান্ত থেকে চাপ রাখতে হয়। সব সময় উইকেট পাওয়া যায় না। কিন্তু হাল ছেড়ে দিলেও হয় না। উইকেট না এলে আমরা চেষ্টা করি, যাতে প্রতিপক্ষ সহজে রান করতে না পারে। সহজে রান করতে না পারলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সঠিক জায়গায় ধারাবাহিক ভাবে বল ফেলার চেষ্টা করি আমরা। এ টুকু বলতে পারি, এই ম্যাচে যথেষ্ট স্বাধীন ভাবে বল করতে পারছি।’’

এজবাস্টনের পিচ বোলারদের জন্য সহায়ক নয়। বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আকাশদীপ বলেছেন, ‘‘এমন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে এই পিচে বল করা বেশ চ্যালেঞ্জের। আমরা যতটা সম্ভব নির্ভুল থাকার চেষ্টা করেছি। বাড়তি কিছু চেষ্টা করিনি। কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। কোচদের পরামর্শ আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল। আমার ধারণা ছিল ইংল্যান্ডে বল ভাল সুইং করে। বলের সেলাই কার্যকর ভূমিকা নেয়। কিন্ত এই ম্যাচে বল করার পর সেই ধারণা কিছুটা পাল্টেছে। এখানে এমন পিচও আছে, যাতে বোলারেরা বিশেষ সাহায্য পায় না।’’

প্রত্যাশা পূরণ করেও পরের ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা নেই। এটা কি বাড়তি চাপ? নাকি ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করে আনতেই দলে এমন অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি করেছেন গম্ভীর? তবে পরের ম্যাচে আকাশদীপ বাদ পড়লে গম্ভীরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।

Advertisement
আরও পড়ুন