Shreyas Iyer

প্লীহার ক্ষত সারাতে অস্ত্রোপচার শ্রেয়সের, কেমন আছেন ভারতীয় ব্যাটার? জানাল ক্রিকেট বোর্ড

শ্রেয়স আয়ারকে আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সিডনির এক বন্ধুর বাড়ি থেকে আনা খাবার খেয়েছেন ৩০ বছরের ব্যাটার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২২:০৭
picture of cricket

শ্রেয়স আয়ার। ছবি: এক্স।

শ্রেয়স আয়ারের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার পর প্লীহার ক্ষত ঠিক করতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও ভারতের এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ককে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিৎ শইকীয়া বলেছেন, শ্রেয়সের কোনও অস্ত্রোপচার হয়নি।

Advertisement

শ্রেয়সের ঘনিষ্ঠ সূত্র উল্লেখ করে একটি ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হয়েছিল। যদিও অস্ত্রোপচারের কথা মানতে চাননি বোর্ড সচিব। তাঁর বক্তব্য, বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্ষত ঠিক করেছেন চিকিৎসকেরা। যাকে অস্ত্রোপচার বলা যায় না। তিনি জানিয়েছেন, শ্রেয়স মঙ্গলবার ফোনে কথা বলেছেন। শ্রেয়সের সিডনিবাসী এক বন্ধু বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই খাবারই খেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার।

শ্রেয়সের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শইকীয়া বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকদের ধারণার থেকে দ্রুত সেরে উঠছে শ্রেয়স। এখন ও অনেক অনেক ভাল রয়েছে। আমি ভারতীয় দলের চিকিৎসক রিজ়ওয়ান খানের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি। শ্রেয়সের জন্য তিনি সিডনিতেই রয়েছেন। সাধারণত এই ধরনের চোট সারতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে। তবে শ্রেয়স যে দ্রুততার সঙ্গে উন্নতি করছে, তাতে আরও আগে সুস্থ হয়ে উঠলে অবাক হব না।’’

বোর্ড সচিব আরও বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকেরা শ্রেয়সের উন্নতিতে সন্তুষ্ট। স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে শুরু করেছে। আঘাতটা বেশ গুরুতর ছিল। তবে এখন অনেকটাই ভাল রয়েছে। বিপদ কাটিয়ে উঠেছে। সে কারণেই সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওকে আইসিইউ থেকে বের করে এনেছেন।’’

সচিবের বক্তব্যের আগে শ্রেয়সের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেয় বিসিসিআই। তাতে লেখা হয়, ‘’২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ খেলার সময় শ্রেয়স আয়ারের পেটে আঘাত লাগে। তার ফলে তাঁর প্লীহায় ক্ষত তৈরি হয় এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। আঘাত দ্রুত চিহ্নিত করা হয় এবং রক্তপাত বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর আবার স্ক্যান করা হয়েছে। ক্ষতস্থানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। শ্রেয়স সুস্থ হওয়ার পথে। সিডনি এবং ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ মতো বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম তাঁর সুস্থতার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।’’

বোর্ড সচিব জানিয়েছেন, এই ধরনের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সাত থেকে ১০ দিন থাকতে হয়। শ্রেয়সকেও আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। সিডনির সেরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা সর্বক্ষণ নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপর।

Advertisement
আরও পড়ুন