Stampede Outside Chinnaswamy

আইপিএল জিতলে আর যেমন খুশি উৎসব করা যাবে না, বেঙ্গালুরু-কাণ্ডের পর নতুন নির্দেশিকা আনছে বোর্ড

বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের উৎসবে শামিল হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিৎ শইকীয়ার ইঙ্গিত, আইপিএল জিতলেই এ বার থেকে যেমন খুশি অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫ ১৫:৪৮
cricket

বুধবার ট্রফি নিয়ে বিরাট কোহলিদের সেলিব্রেশন। ছবি: পিটিআই।

বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের উৎসবে শামিল হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। আহত ৫০-এরও বেশি। বেঙ্গালুরুর ঘটনা ‘চোখ খুলে দেওয়ার’ মতো বলে দাবি করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিৎ শইকীয়া। তাঁর ইঙ্গিত, আইপিএল জিতলেই এ বার থেকে যেমন খুশি অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। এ ব্যাপারে শীঘ্রই নির্দেশিকা আনতে চলেছে বোর্ড।

Advertisement

আইপিএল ফাইনাল আয়োজন করা পর্যন্ত যাবতীয় দায়িত্ব থাকে বোর্ডের। জয়ী দল কী ভাবে ট্রফি নিয়ে উৎসব করবে সেটার দায়িত্ব থাকে তাদের উপরেই। কিন্তু বেঙ্গালুরু-কাণ্ডের পর এ বার জয়ের উৎসবেও রাশ টানতে চাইছে বোর্ড।

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে শইকীয়া বলেছেন, “চোখ খুলে দেওয়ার মতো ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করা দরকার সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতি বছরই কেউ না কেউ জিতবে। প্রতি বছরই উৎসব হবে তাদের শহরে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য শিক্ষা নিতে হবে। এই মুহূর্তে কোনও দলের উৎসবের সঙ্গে বোর্ডের কোনও যোগাযোগ নেই।”

শইকীয়া উদাহরণ দিয়েছেন আইপিএল ফাইনাল আয়োজনের। বলেছেন, “মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন এক লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক (আদতে ৯১ হাজারের কাছাকাছি)। নিরাপত্তা এবং দর্শকদের সামলানোর ব্যাপারে ছোটখাটো ঘটনাতেও আমরা নজর দিয়েছি। একটাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব নিয়ন্ত্রণে ছিল। বেঙ্গালুরুতে যা হয়েছে তাতে বোর্ডের কোনও ভূমিকা নেই।”

আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব কাদের ছিল সেটা তাঁরা জানেন না। ধুমলের কথায়, “গোটা ঘটনা আমরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভবিষ্যতে এমন হওয়া চলবে না। ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রা বা বেঙ্গালুরুতে কোথায় উৎসব হবে, এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। কারা আয়োজন করেছে, কী ভাবে অত মানুষ এল ওখানে, পুরোটাই আমাদের অজানা।”

গত বছর ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর মুম্বইয়ে হুডখোলা বাসে শোভাযাত্রা হয়েছিল। সেখানেও প্রচুর ভিড় হয় এবং অল্পবিস্তর ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে মারা যাননি কেউ।

কী ভাবে সামলানো গিয়েছিল সেই সময়? মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি অজিঙ্ক নায়েক বলেন, “শোভাযাত্রা হবে জানার পরে মুম্বই পুলিশ আমাদের যা বলেছিল সেটাই শুনেছিলাম। ২০০৭ সালেও (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর) এমন শোভাযাত্রা সামলেছি আমরা। স্থানীয় প্রশাসনই সাহায্য করেছে। ভারতীয় দল আসার দু’ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সমর্থকদের বলা হয়েছিল একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না। মেরিন ড্রাইভে আগেই পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

Advertisement
আরও পড়ুন