অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। এর থেকেও বড় স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে ভারতে। —ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কোনও কোনও রাজ্যে তো সংখ্যাটা একের বেশি। এ বার আরও পাঁচটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই পাঁচটি স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি স্টেডিয়ামে দর্শকাসন থাকবে ১,৩২,০০০। অর্থাৎ, অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের থেকেও বড় স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে ভারতে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা ও রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করবে তারা। ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি কেসিনেনি শিবনাথ জানিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে ৬০ একর জায়গা চাওয়া হয়েছে। অমরাবতীতে ২০০ একর জায়গার উপর একটি স্পোর্টস সিটি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। তার মধ্যেই থাকবে এই স্টেডিয়াম। তাতে দর্শকাসন থাকবে ১,৩২,০০০। স্টেডিয়াম তৈরিতে সাহায্য করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও।
মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ের পাশাপাশি আরও একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জায়গা চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই বছর মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ১,০০,০০০ দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবেন।
কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম নিয়ে নানা রকম অভিযোগ ওঠায় শহরের বাইরে সূর্যনগরে একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৭৫ একর জায়গার উপর তৈরি হবে এই স্টেডিয়াম। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে। তার জন্য ২৩৫০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। চিন্নাস্বামীতে ৩৩,০০০ দর্শক খেলা দেখতে পারেন। নতুন স্টেডিয়ামে ৮০,০০০ দর্শক খেলা দেখতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
কোচিতে আরও একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল ক্রিকেট সংস্থা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে কোচি বিমানবন্দরের কাছেই ৩০ একর জায়গার উপর তৈরি হবে এই স্টেডিয়াম। তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। এই স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ৪০,০০০ দর্শক বসতে পারবেন।
উত্তরপ্রদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। চতুর্থ স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে গোরক্ষপুরে। ৫০ একর জায়গার উপর এই স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার কথা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুর মঠের মোহান্ত। তিনি জানিয়েছেন, দেড় বছরের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে। খরচ হবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।