IPL 2025

কেকেআরের ছেড়ে দেওয়া দুই ক্রিকেটারেই বাজিমাত বেঙ্গালুরুর, ফাইনাল জিতে তবেই উৎসব চান আরসিবি-র অধিনায়ক

গত বার কেকেআরের হয়ে সল্ট ১২ ম্যাচে ৪৩৫ রান করেছিলেন। চারটি অর্ধশতরানও করেছিলেন তিনি। সুযশ ২০২৩ সালের আইপিএলে ১১ ম্যাচে কেকেআরের হয়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। পরের আইপিএলে তাঁকে মাত্র দু’টি ম্যাচে খেলিয়েছিল কলকাতা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ২২:৫৫
Rajat Patidar

রজত পাটীদার। —ফাইল চিত্র।

গত বারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দাপটের প্রধান কারণ ছিলেন ওপেনার ফিল সল্ট। তাঁকেই এ বারের আইপিএলের আগে ছেড়ে দিয়েছিল কলকাতা। ছেড়ে দিয়েছিল স্পিনার সুযশ শর্মাকেও। বৃহস্পতিবার তাঁদের কাঁধে চড়েই আইপিএলের ফাইনালে উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

Advertisement

বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি যদি চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, বেঙ্কি মাইসোর, শাহরুখ খানেরা দেখে থাকেন, তা হলে অবশ্যই আফসোস করবেন। ভাববেন কেন সল্ট, সুযশদের ছেড়ে আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংহদের রাখতে গেলাম। সল্টকে নিলামে কেনার উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল আরসিবি শিবিরে। অধিনায়ক রজত পাটীদার ম্যাচ শেষে বলেন, “প্রতি ম্যাচে সল্ট যে ভাবে খেলেছে, যে ভাবে দলের ইনিংসটা শুরু করেছে, সেটা খুবই উপভোগ্য। আমি ওর ভক্ত।” পাটীদার প্রশংসা করেন সুযশেরও। আরসিবি অধিনায়ক বলেন, “সুযশ দারুণ ভাবে দলে জায়গা করে নিয়েছে। ওর লাইন এবং লেংথ দুর্দান্ত। অধিনায়ক হিসাবে আমি খুব স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করতে হবে। ও সেটাই খুব ভাল ভাবে করেছে।”

গত বার কেকেআরের হয়ে সল্ট ১২ ম্যাচে ৪৩৫ রান করেছিলেন। চারটি অর্ধশতরানও করেছিলেন তিনি। এ বারের আইপিএলেও ছন্দে রয়েছেন ইংরেজ ওপেনার। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৮৭ রান করেছেন। এ বারেও চারটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝড় তুললে অবাক হওয়ার থাকবে না।

সুযশ ২০২৩ সালের আইপিএলে ১১ ম্যাচে কেকেআরের হয়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। পরের আইপিএলে তাঁকে মাত্র দু’টি ম্যাচে খেলিয়েছিল কলকাতা। এ বারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। গোটা আইপিএলে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিন উইকেট তুলে লণ্ডভণ্ড করে দেন শ্রেয়স আয়ারদের মিডল অর্ডার। ম্যাচের সেরাও হন সুযশ। তিনি বলেন, “কোচ আমাকে একটাই কাজ দিয়েছিল। বলেছিল, লেগব্রেক, গুগলি, ফ্লিপার যা-ই করি বল স্টাম্পে রাখতে হবে। উইকেট থেকে কিছুটা সাহায্য পেয়েছি।”

পঞ্জাব কিংসকে দুরমুশ করে ফাইনালে উঠেছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এখনই উৎসবে মাততে রাজি নন পাটীদার এবং সুযশ। অধিনায়ক পাটীদার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আর একটা ম্যাচ বাকি, তার পর একসঙ্গে উৎসব করব।” একই সুর সুযশের গলাতেও। তিনি বলেন, “আজ রাতে উৎসব করব না। তবে ৩ জুন (আইপিএলের ফাইনাল) প্রচণ্ড উৎসবে মাততে চাই।”

Advertisement
আরও পড়ুন