Virat Kohli

মুদির দোকানে ফোন করছেন কোহলি, ডিভিলিয়ার্স! আচমকাই শিরোনামে ছত্তীশগঢ়ের অখ্যাত গ্রামের দোকানদার

পেশায় তিনি এক মুদির দোকানের মালিক। ছত্তীশগঢ়ের সেই মণীশ আচমকাই চলে এসেছেন খবরের শিরোনামে। কারণ তাঁকে ফোন করছেন বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, রজত পাটীদারেরা। ভুল ভাঙল বাড়ির দরজায় পুলিশ হাজির হওয়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ২৩:০৬
cricket

বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।

পেশায় তিনি এক মুদির দোকানের মালিক। ছত্তীশগঢ়ের সেই মণীশ আচমকাই চলে এসেছেন খবরের শিরোনামে। কারণ তাঁকে ফোন করছিলেন বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, রজত পাটীদারেরা। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে পাল্টা মজা করতে শুরু করেছিলেন মণীশ। ভুল ভাঙল বাড়ির দরজায় পুলিশ হাজির হওয়ায়।

Advertisement

ছত্তীশগঢ়ের গারিয়াবন্দ জেলার দেবভোগ গ্রামের একটি দোকানের মালিক মণীশ বুঝতেও পারেননি তাঁর জীবনে এমন দিন আসবে। রাতারাতি তিনি খ্যাতনামী হয়ে গিয়েছিলেন। আবার বাস্তবের মাটিতে ফিরেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ২৮ জুন থেকে। স্থানীয় দোকান থেকে একটা সিমকার্ড কিনেছিলেন মণীশ। মোবাইলে সিম ভরে হোয়াট্‌সঅ্যাপ ইনস্টল করতেই সেখানে দেখা যায় পাটীদারের ছবি। মণীশ এবং তাঁর বন্ধু খেমরাজ ভেবেছিলেন, বিষয়টা নেহাতই মজার। এর পরেই একের পর এক ফোন আসা শুরু হয়। কেউ নিজেকে বিরাট কোহলি, কেউ এবি ডিভিলিয়ার্স বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

মণীশ এবং খেমরাজও মজা পেয়ে যান। তাঁরা পাল্টা নিজেদের ‘মহেন্দ্র সিংহ ধোনি’ বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। ১৫ জুলাই অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন পান মণীশ। উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, “ভাই, আমি রজত পাটীদার। এই নম্বরটা আমার। দয়া করে ফেরত দিন।” তখনও মণীশ মজা করে বলেন, “আমি এমএস ধোনি।” ওই ব্যক্তি বার বার বোঝালেও লাভ হয়নি। শেষে তিনি জানান, পুলিশে অভিযোগ করবেন।

দশ মিনিটের মধ্যেই মণীশের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। বোঝা যায়, উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সত্যি করেই পাটীদার ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সিম কার্ড ফিরিয়ে দেন মণীশ।

আসলে কোনও সিম কার্ড ৯০ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকলে তা অন্য কাউকে দিয়ে দেয় মোবাইল অপারেটর সংস্থাগুলো। পাটীদারের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। তবে এখন নিজের নম্বর ফেরত পেয়েছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন