দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে ইডেনে পিচ দেখছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। পাশে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। ছবি: পিটিআই।
আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় কম সমালোচনা হয়নি। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টে ইডেনের উইকেটকে নিশানা করেছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। দাবি করা হয়েছিল, এই ধরনের উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের মান কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু গৌতম গম্ভীর সেই পিচে কোনও ‘জুজু’ দেখেননি। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এই রকম পিচই চেয়েছিলেন। এ বার সেই পিচকে নম্বর দিল আইসিসি।
সমালোচনার মাঝে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভারতীয় দল যেমন পিচ চেয়েছে তেমনটাই দেওয়া হয়েছে। আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় খুশি হতে পারেননি তিনিও। তাঁর সংস্থার মাঠের পিচকে নম্বর দিল জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি। একই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও সচিবের পদ সামলেছেন সৌরভ ও শাহ। তবে তাঁরা এখন ভিন্ন ভিন্ন সংস্থায়। সৌরভ আবার রাজ্যে ফিরেছেন। শাহ গিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্তরে।
আইসিসি-র ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন ইডেনের পিচকে ‘সন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়েছেন। তার অর্থ, পিচ খারাপ ছিল না। খুব ভাল না হলেও আড়াই দিনে শেষ হয়ে যাওয়ার মতো পিচ ছিল না। ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই খেলা তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় কোচ গম্ভীরের সুরেই সুর মিলিয়েছে আইসিসি। গম্ভীর জানিয়েছিলেন, পিচ কঠিন ছিল, কিন্তু খারাপ নয়। সেই কথাই বললেন রিচার্ডসনও।
পাশাপাশি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে গুয়াহাটির উইকেটকে ‘খুব ভাল’ আখ্যা দিয়েছে আইসিসি। সেই ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়িয়েছিল। অবশ্য ইডেনের থেকে গুয়াহাটিতে বাজে ভাবে হেরেছিল ভারত। ইডেনে ৩০ রানে হেরেছিল তারা। গুয়াহাটিতে ভারতকে ৪০৮ রানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবার মেলবোর্নের উইকেটকে ‘অসন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়েছে আইসিসি। এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট মাত্র দু’দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো পিচ দেখে খুশি হতে পারেননি। ফলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে মেলবোর্ন। ইডেনকে অবশ্য শাস্তি পেতে হল না।
ইডেনের পিচে প্রথম দিন থেকেই ঘূর্ণি ছিল। দু’দল মিলিয়ে একমাত্র টেম্বা বাভুমা ছাড়া কেউ অর্ধশতরান করতে পারেননি। খেলা শেষে গম্ভীর জানিয়েছিলেন, এই পিচে খেলার জন্য আরও দক্ষতা প্রয়োজন। সঙ্গে মানসিকতারও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছিল ঋষভ পন্থের মুখেও। কিন্তু তাতে পিচের সমালোচনা কমছিল না। আইসিসি-র নম্বর সব সমালোচনা বন্ধ করে দিল। বুঝিয়ে দিল, গম্ভীরই ঠিক ছিলেন।