Under-19 Asia Cup 2025

নকভির থেকে দূরেই থাকল ভারতীয় দল! মঞ্চে উঠল না বৈভবেরা, এশিয়া কাপে ভারতকে রানার্সের পদক দিলেন অন্য এক কর্তা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ভারত। খেলা শেষে পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির হাত থেকে রানার্সের পদক নেয়নি ভারতীয় দল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯
cricket

পাকিস্তানের অধিনায়ক ফারহান ইউসুফের (ডান দিকে) হাতে এশিয়া কাপ ট্রফি তুলে দিচ্ছেন মহসিন নকভি (বাঁ দিকে)। ছবি: এক্স।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই সকলের নজর ছিল পুরস্কার মঞ্চের দিকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নকভির হাত থেকে ভারতীয় দল পদক নেবে কি না সেই জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত নকভিকে দূরেই রাখল ভারতীয় দল।

Advertisement

ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ১৯১ রানে হেরেছে ভারত। হেরে যাওয়ায় বোধহয় নকভির থেকে দূরে থাকতে খানিক সুবিধাই হয়েছে ভারতের। এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ায় নকভি সাধারণত জয়ী দলকে পদক দেবেন, এমনটাই রীতি। সেখানে ভারত রানার্স হওয়ায় অন্য কারও হাত থেকে তাদের পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। সেটাই হল।

খেলা শেষ হওয়ার প্রায় আধ ঘণ্টা পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। দেরি হওয়ায় অনেকের স্মৃতিতে ফিরছিল বড়দের এশিয়া কাপের ফাইনালের ঘটনা। সে বারও খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হয়েছিল। পরে দেখা যায়, এশিয়া কাপ ট্রফি না নিয়েই উল্লাস করছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। জানা যায়, নকভি ট্রফি নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। সেই ট্রফি এখনও ভারতীয় দল পায়নি।

ছোটদের ফাইনাল শেষে দেখা গেল, পুরস্কার মঞ্চে রয়েছেন নকভি। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটারদের পদক দিলেন আইসিসি-র সহযোগী সদস্য দেশের চেয়ারম্যান মুবাসির উসমানি। ভারতীয় দল মঞ্চেও ওঠেনি। মঞ্চ থেকে নেমে আসেন মুবাসির। সেখানেই তাঁর হাত থেকে একে একে পদক নেয় বৈভব সূর্যবংশীরা।

নকভি অবশ্য পাকিস্তানের জয়ী দলের ক্রিকেটারদের হাতে পদক ও ট্রফি তুলে দেন। তাঁরা মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেন। তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন নকভি। পরে উল্লাসেও যোগ দেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা যখন গোটা মাঠ ঘুরে সমর্থকদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন, তখনও দেখা যায় নকভিকে। তবে নিজেদের পদক নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব ও ফাইনালে হাত মেলাননি দু’দেশের ক্রিকেটারেরা। ফাইনাল শেষেও সেই দূরত্ব থেকেই গেল।

Advertisement
আরও পড়ুন