হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: পিটিআই।
চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। জানালেন গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।
খেলায় ফিরেই দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি হার্দিক। চোট সারিয়ে ফেরা ৩২ বছরের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি।’’ ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে বললেন, ‘‘শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাচে ঠিকঠাক হয়। কারণ এখানকার পিচে মশলা (বোলারেরাও সাহায্য পেয়েছেন) ছিল। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’
নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’
জয়ের কৃতিত্ব সতীর্থদের দিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। আলাদা করে প্রশংসা করলেন হার্দিক, অর্শদীপ সিংহ এবং জশপ্রীত বুমরাহের। সূর্যকুমার দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা শুরুতে দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারাই। ৪৮ রানে ৩ উইকেট চলে যায়। তখন মনে হয়েছিল ১৬০ মতো হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা ১৭৫ রান তুলেছি। এই রানটা খারাপ নয়। হার্দিক দুর্দান্ত ব্যাট করল। ও পাওয়ার প্লের সুবিধা পায়নি। তা-ও নির্ভিক সব শট খেলল। তিলক, অক্ষরও ভাল খেলল। ওদের জন্যই আমরা ভাল জায়গায় পৌঁছোই। দলে সাত-আট জন ব্যাটার থাকার এটাই সুবিধা। পরের দিকের ব্যাটারেরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।’’
সূর্যকুমার প্রশংসা করলেন বোলারদেরও। অধিনায়ক বললেন, ‘‘আমাদের দলে অর্শদীপ এবং বুমরাহের মতো দু’জন বোলার রয়েছে। পাওয়ার প্লেতে বল করার জন্য ওরা সেরা। পরে হার্দিক এসেই উইকেট নিল। চোট সারিয়ে ফিরেই কী খেলল হার্দিক!’’