Joe Root

বিশ্বরেকর্ড থেকে মাত্র ২৫১২ রান দূরে, তবু সচিনের নজির ভাঙা নিয়ে উৎসাহী নন রুট, কী বললেন ইংরেজ ব্যাটার?

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গিয়েছেন জো রুট। সামনে শুধু সচিন তেন্ডুলকর, যাঁর ১৫৯২১ রান থেকে মাত্র ২৫১২ রান দূরে রুট। তবে সচিনের নজির ভাঙা নিয়ে উৎসাহী নন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৭
cricket

শতরানের পর জো রুট। ছবি: পিটিআই।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গিয়েছেন জো রুট। শুক্রবার একই দিনে টপকে গিয়েছেন জাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড় এবং রিকি পন্টিংকে। সামনে শুধু সচিন তেন্ডুলকর, যাঁর ১৫৯২১ রান থেকে মাত্র ২৫১২ রান দূরে রুট। তবে সচিনের নজির ভাঙা নিয়ে উৎসাহী নন তিনি। বরং সচিনের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে এখনও গর্ব হয় তাঁর।

Advertisement

‘বিবিসি’-কে রুট বলেছেন, “সচিন ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি, তাই না? কাঁধে এত চাপ এবং বোঝা নিয়েও যে ভাবে খেলে গিয়েছে তা অসামান্য। রেকর্ড নিয়ে আমার কোনও চিন্তা নেই। রেকর্ড নিজের মতো হবে। আমার লক্ষ্য হল ম্যাচ জেতা।”

১৯৯০-এর ডিসেম্বরে জন্ম রুটের। তার এক বছর আগে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। তাঁর সঙ্গে ২০১২ ভারত সফরে খেলেছিলেন রুট। নাগপুর টেস্টে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেই প্রসঙ্গ মনে করে রুট বলেছেন, “আমি জন্মানোর আগে সচিনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই মাঠে খেলা এবং তাঁর বিরুদ্ধে খেলা খুবই গর্বের ব্যাপার। আমি ওঁকে দেখে, সমীহ করে এবং শিক্ষা নিয়ে বড় হয়েছে। উনি যে সিরিজ়‌ে খেলছেন সেখানে আমিও খেলার সুযোগ পেয়েছি, এই মুহূর্ত কোনও দিন ভুলতে পারব না।”

পন্টিংকে টপকানোর সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছিল রুটকে। সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক বলেছেন, “রিকি এমন একজন যাঁকে সমীহ করি, যাঁকে দেখে বড় হয়েছি এবং যাঁকে টপকে যেতে চেয়েছি। যে পুল শটের জন্য রিকি বিশ্ববিখ্যাত, সেই শট বাড়ির উঠোনে, স্থানীয় ক্লাবের হয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। ওঁদের সঙ্গে একসঙ্গে আমার নাম উচ্চারিত হবে, সেটা ভাবতেও পারিনি।”

ইংল্যান্ডের আর এক অধিনায়ক নাসের হুসেনের থেকে পাওয়া পরামর্শের কথাও এসেছে রুটের মুখে। বলেছেন, “নাসেরের সঙ্গে বেশ কিছু কথা হয়েছে। আমি দেখতে চেয়েছিলাম কী ভাবে আউট হচ্ছি। সেই অনুযায়ী নিজের খেলায় বদল আনার চেষ্টা করেছি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে টেকনিকে নজর দিতে। কোথায় মাথা, কোথায় হাত সেগুলো খেয়াল রাখতাম। দ্বিতীয় পর্বে ঝুঁকি কমানোর দিকে নজর দিয়েছে। কী ভাবে আউট হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো যায় সেটা নিয়ে ভেবেছি।”

Advertisement
আরও পড়ুন