India on US H-1b Visa Cancellation

ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল কেন? উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলল বিদেশ মন্ত্রক

বহু ভারতীয়ের এইচ-১বি ভিসার সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে। কাউকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী সাক্ষাৎকার হবে দুই থেকে তিন মাস পরে। কারও সাক্ষাৎকার মে মাস পর্যন্ত পিছিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০১
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বছরশেষে বহু ভারতীয়ের এইচ-১বি ভিসার সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে। যা হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে, তা এক ধাক্কায় কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতীয়দের আমেরিকায় কাজ করার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছে বিদেশ মন্ত্রক।

Advertisement

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যে উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে। রণধীরের কথায়, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ জানিয়ে আমরা মার্কিন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এখানেও কথা বলেছি, ওয়াশিংটনেও কথা বলেছি।’’ তবে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সম্পূর্ণ রূপে সে দেশের সার্বভৌম ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে, মেনে নিয়েছেন রণধীর। জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকদের সমস্যা যাতে কম করা যায়, তার জন্য আমেরিকার সঙ্গে কথাবার্তা তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কর্মসূত্রে আমেরিকায় প্রবাসী অনেক ভারতীয় নাগরিক বছরের এই সময়টিতে দেশে ফিরে আসেন। কারণ, আমেরিকায় এখন ছুটির মরসুম। এইচ-১বি ভিসার অধীনে কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন হয়। অনেকেই এই সময় সেই আবেদনও সেরে রাখেন। তার জন্য নতুন করে সাক্ষাৎকার হয় এবং ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে যাঁদের সাক্ষাৎকারের দিন স্থির ছিল, সেগুলি আচমকা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী সাক্ষাৎকার হবে দুই থেকে তিন মাস পরে। কারও সাক্ষাৎকার মে মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ আবার নতুন সাক্ষাৎকারের দিন এখনও জানতেই পারেননি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনিই ভিসার গ্রাহকদের জন্য নিয়মের কড়াকড়ি করেছেন। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের সমাজমাধ্যমের পোস্ট খতিয়ে দেখা হবে। আমেরিকাবিরোধী কিছু চোখে পড়লে তাঁকে ভিসা না-ও দেওয়া হতে পারে। ছাত্র ভিসা বা অন্য কোনও ভিসার মাধ্যমে যাঁরা আমেরিকায় থাকেন, তাঁদের অনেক আগেই এই কঠোর নিয়মের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এ বার এইচ-১বি ভিসার গ্রাহকদেরও ভুগতে হচ্ছে। যাঁরা দেশে চলে এসেছেন, তাঁরা আর আমেরিকায় ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়েই সংশয় রয়েছে। সাক্ষাৎকার বাতিল হয়ে যাচ্ছে শুনে অনেকে শেষ মুহূর্তে দেশের ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন