Sanju Samson

রাজস্থান-সঞ্জু বিবাদের কেন্দ্রে এক জনই, কার জন্য দল ছাড়তে চান অধিনায়ক?

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১১ বছর আইপিএল খেলেছেন সঞ্জু স্যামসন। তাঁকে কেন্দ্র করেই দলের পরিকল্পনা তৈরি হয়ে এসেছে এত দিন। দু’পক্ষের সম্পর্কও ছিল ভাল। একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে সমস্যার শুরু।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১২:৪৮
picture of Sanju Samson

সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।

ভাল সম্পর্ক গত মরসুমের মাঝামাঝি সময় থেকে খারাপ হতে শুরু করে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে, আইপিএল শেষে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষকে সঞ্জু স্যামসন দল ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দেন। রাজস্থানের হয়ে ১১ বছর আইপিএল খেলার পর হঠাৎ কী এমন ঘটেছিল?

Advertisement

ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটের দাবি, রাজস্থান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঞ্জুর দূরত্ব সৃষ্টির কেন্দ্রে রয়েছেন জস বাটলার। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি সঞ্জুর। দল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন অধিনায়ক। তাঁর অনুরোধ-যুক্তি শোনেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। গত আইপিএল শুরুর আগে সঞ্জু বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরোক্ষ সমালোচনা করেছিলেন। রাজস্থানের হয়ে সাত বছর খেলা বাটলার দলের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন বলেই মনে করেন সঞ্জু। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বাটলারকে ছেড়ে দেওয়া আমার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্তগুলোর একটা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ়ের সময় এক দিন রাত্রে খেতে খেতে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। বাটলারকে বলেছিলাম, তখনও ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আইপিএলের একটা নিয়ম যদি পরিবর্তন করতে পারতাম, তা হলে তিন বছর অন্তর ক্রিকেটার ছেড়ে দেওয়ার নিয়মটা বদলে দিতাম।’’ তাঁর এই বক্তব্য ভাল ভাবে নেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। মূলত বাটলারকে ছেড়ে দেওয়া নিয়েই দল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঞ্জুর বিবাদের শুরু। ক্রমে বিভিন্ন বিষয় তাতে যুক্ত হয়েছে এবং সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে।

রাজস্থান কর্তৃপক্ষ ইচ্ছার বিরুদ্ধে সঞ্জুকে ধরে রাখতে চাইছেন না। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের কর্ণধার মনোজ বাদালে একাধিক দলের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। সুবিধাজনক শর্তে সঞ্জুকে বিক্রি করে দিতে চান তিনি। সঞ্জুর মতো উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে সহজে ছাড়তে নারাজ তিনি। সূত্রের খবর, চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে কথা বলছেন রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। সঞ্জুকে চেন্নাই নিতে চাইলে রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবীন্দ্র জাডেজা মধ্যে এক জনকে ছাড়তে হবে। এক মাত্র এই শর্তেই চেন্নাইয়ের সঙ্গে সঞ্জুকে অদলবদল করতে রাজি রাজস্থান। কেকেআরের কোনও ক্রিকেটারকে তাঁরা নিতে চান না। সঞ্জুকে নিতে হলে কেকেআর কর্তৃপক্ষকে ১৮ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। কারণ এই দামেই গত বার সঞ্জুকে ধরে রেখেছিলেন রাজস্থান কর্তৃপক্ষ।

রাজস্থানের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘সঞ্জুর ব্যাপারে একাধিক দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। সঞ্জুর মত ক্রিকেটারকে এমনি ছাড়া যায় না। দলের শক্তি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চেন্নাই রুতুরাজ বা জাডেজার মধ্যে কাউকে দিলে তবেই আমরা সঞ্জুকে দেব। এর বাইরে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত কম।’’

আগামী আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে যে সঞ্জু খেলবেন না, এই বিষয়টা এক রকম নিশ্চিত। তিনি শেষ পর্যন্ত কোন দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন, তা চূড়ান্ত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

Advertisement
আরও পড়ুন