IPL 2025

নিজের ব্যর্থতা নিয়ে চুপ পন্থ, প্লে-অফ থেকে ছিটকে গিয়ে লখনউ অধিনায়ক দুষলেন বোলারদের!

ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। অথচ আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে দল ছিটকে যাওয়ার পর তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৫ ১৯:১৯
picture of Rishabh Pant

ঋষভ পন্থ। ছবি: এক্স (টুইটার)।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে আইপিএলের প্লে-অফ থেকে ছিটকে গিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন দলের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দল প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজের ফর্ম নিয়ে কোনও কথা বলেননি পন্থ। বরং ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দলের বোলারদের উপর।

Advertisement

আকাশ দীপ, আবেশ খান, মহসিন খান এবং ময়ঙ্ক যাদবকে নিয়ে জোরে বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছিল লখনউ। চোটের জন্য আইপিএলের শুরুতে আবেশ ছাড়া কাউকেই পায়নি লখনউ। কয়েকটি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর যোগ দেন আকাশ। ময়ঙ্ক দু’টি ম্যাচ খেলার পর চোটের জন্য আর খেলতে পারেননি। চোটের জন্য একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি মহসিন। দলের ব্যর্থতার জন্য বোলারদের চোট-আঘাতকেই অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন পন্থ। যদিও আইপিএলের শুরুটা খারাপ করেনি লখনউ। প্রথম আটটি ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে লিগ পর্বের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভাল জায়গায় ছিল তারা। পরে টানা চারটি ম্যাচ হেরে পিছিয়ে যান পন্থেরা। এই ম্যাচগুলিতে অবশ্য মহসিন ছাড়া সব ভারতীয় জোরে বোলারকেই পেয়েছিলেন তাঁরা।

সোমবার হায়দরাবাদের কাছে হারের পর পন্থ দলের ব্যর্থতা নিয়ে বলেছেন, ‘‘এই মরসুমটা আমাদের দলের জন্য অন্যতম সেরা হতে পারত। কিন্ত প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই আমাদের ভুগিয়েছে চোট-আঘাত সমস্যা। পরিকল্পনায় অনেক ফাঁক থাকছিল। সেই ফাঁকগুলো পূরণ করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবু দল হিসাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ নিয়ে কোনও কথা বলব না।’’

পন্থ মনে করেন, দল গঠনে কোনও সমস্যা ছিল না। লখনউ অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের নিলামের পরিকল্পনায় ভুল ছিল না। যে রকম বোলিংয়ের কথা আমরা ভেবেছিলাম, তা করতে পারিনি। ক্রিকেট এ রকমই। আপনি যেটা চাইছেন, সেটা অনেক সময় হয় না। আবার কিছু জিনিস আপনার পক্ষেও যাবে। আমরা যে ভাবে ক্রিকেট খেলেছি, তাতে গর্বিত। এই মরসুমের নেতিবাচক দিকগুলো নয়, ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই আমরা। আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। আগ্রাসী ব্যাটারের অভাব নেই। এই মরসুমের এটা একটা ইতিবাচক দিক। বোলারেরাও কিছু ক্ষেত্রে ভাল বল করেছে। তবে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল।’’

পন্থ মেনে নিয়েছেন, প্রতিযোগিতার শুরুতে দল ভাল খেললেও পরের দিকে ছন্দ হারিয়েছে। পর পর হারের ধাক্কা তাঁরা সামলাতে পারেননি।

Advertisement
আরও পড়ুন