টংয়ের (বাঁ দিকে) সঙ্গে উল্লাস স্টোকসের। ছবি: রয়টার্স।
জাতীয় দল থেকে বার বার বাদ পড়ছিলেন। সায় দিচ্ছিল না শরীরও। চোট-আঘাত লেগেই ছিল। এক সময় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেই ফেলেছিলেন জশ টং। মেলবোর্নে দুই ইনিংসে সাত উইকেট নিয়ে তিনিই ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জেতালেন ইংল্যান্ডকে। জয়ের পর অবসরের ভাবনার কথা জানিয়েছেন পেসার নিজেই।
প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন টং। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের পর বলেছেন, “অবসরের কথা ১০০ শতাংশ ভেবেছিলাম। আসলে শরীরের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। তাই অবসরের ভাবনা মাথায় এসেছিল। শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে ক্রিকেটে ফিরতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এখন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছি। সারা জীবন তো এটাই চেয়েছি।”
টং জানিয়েছেন, মেলবোর্নে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হওয়া তাঁর কাছে স্বপ্ন ছিল। পেসারের কথায়, “স্বপ্ন এ ভাবেই সফল হয়। বক্সিং ডে-তে ঘুম থেকে ওঠার সময় একটু চিন্তা তো ছিলই। কিন্তু পাঁচ উইকেট নিয়ে অনার্স বোর্ডে নাম তোলা সত্যিই আলাদা অনুভূতি।”
মেলবোর্নের পরিবেশ দেখেও খুশি টং। বলেছেন, “গত কাল প্রায় ৯৫ হাজার মানুষ ছিলেন। চারটে ম্যাচেই বার্মি আর্মি আমাদের খুব সমর্থন করেছে। এখানেও চিৎকার করে সমর্থন জুগিয়েছে। এই মুহূর্ত ভোলার নয়।”
এক সময় মনে হচ্ছিল চলতি সিরিজ়ে একটিও টেস্টে জিততে পারবে না ইংল্যান্ড। নুসায় মদ্যপান বিতর্কের পর প্রবল সমালোচিতও হচ্ছিল তারা। সে সব পেরিয়ে জিততে পেরে খুশি টং। কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদেরও।
টং বলেছেন, “প্রত্যেকে ভাল খেলেছে। প্রথম দিন মাঠে আসার পরেই বুঝেছিলাম, দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে। এ ধরনের পরিবেশে খেলেই আমরা অভ্যস্ত। নিজেদের সেরাটা দিয়ে বল করেছি। বলে বৈচিত্র এনেছি। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট জেতার চেয়ে ভাল অনুভূতি সত্যিই হয় না।”