প্রিয়াংশ আর্যকে (ডান দিকে) আউট করার পর দিগ্বেশের সেই উচ্ছ্বাস। — ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে বিরাট কোহলির অনুকরণে ‘নোটবুক উচ্ছ্বাস’ করে দু’বার শাস্তি পেয়েছিলেন লখনউয়ের ক্রিকেটার দিগ্বেশ রাঠি। তবে ভবিষ্যতে একই কায়দায় উচ্ছ্বাস করলেও হয়তো তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে না। সৌজন্যে বোর্ডের একটি নির্দেশ।
পঞ্জাব ম্যাচে প্রিয়াংশ আর্যকে আউট করে তাঁর সামনে ‘নোটবুক উচ্ছ্বাস’ করে শাস্তি পেয়েছিলেন দিগ্বেশ। পরের ম্যাচে একই কাজ করেন মুম্বইয়ের নমন ধীরকে আউট করে এবং শাস্তিও পান। তার পরের ম্যাচে সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে মাটিতেই কিছু লেখার ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস করেন। সেই ম্যাচে শাস্তি পাননি।
সম্প্রতি বোর্ড একটি নির্দেশ পাঠিয়েছে সমস্ত আম্পায়ারকে। সেখানে ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসের প্রতি একটু নমনীয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়াবাড়ি কিছু না করলে যাতে শাস্তি না দেওয়া হয়, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে সুবিধা হয়েছে দিগ্বেশের।
উল্লেখ্য, দিগ্বেশ শাস্তি পাওয়ার পর আম্পায়ারদের সমালোচনা করেছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল এবং সুনীল গাওস্কর। ডুল বলেছিলেন, “দলকে জরিমানা দিতে হচ্ছে, যেটা একটুও পছন্দ নয় আমার। আমি উচ্ছ্বাস দেখতে ভালবাসি। আমার মনে হয় না দিগ্বেশ ভুল কিছু করেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এর থেকেও খারাপ উচ্ছ্বাস করতে দেখেছি। মুখের সামনে এসে অঙ্গভঙ্গি করেও শাস্তি পায়নি। তা হলে তরুণ একটা ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়ার কী অর্থ?”
গাওস্কর প্রশ্ন তুলেছিলেন শাস্তির যৌক্তিকতা নিয়ে। নিজের কলামে লিখেছিলেন, “প্রথম বার প্রিয়াংশ আর্যকে আউট করে শাস্তি পেয়েছিল দিগ্বেশ। সেটা সঠিক ছিল, কারণ বিপক্ষের ব্যাটারের সাজঘরে ফেরার রাস্তা আটকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। সেটা উচিত হয়নি। পরের বার তো আউট হওয়া ব্যাটারের ধারেকাছেও ছিল না। তা হলে কেন শাস্তি পেল?”