পন্থের গাড়িতে লুট চালানোর অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। ছবি: টুইটার।
প্রাণে বাঁচলেও বহু জিনিস খোয়ালেন ঋষভ পন্থ। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর সাহায্য করতে এগিয়ে আসা স্থানীয়দের একাংশ গাড়িতে থাকা সব জিনিস লুট করেছেন। পন্থের সঙ্গে একটি ব্যাগে বেশ কিছু নগদ টাকা ছিল। সেই ব্যাগটিও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ, স্থানীয়দের একাংশ অসহায়তার সুযোগ নিয়ে উদ্ধারের নামে উইকেটরক্ষকের গাড়িতে লুট চালিয়েছেন। একটি ব্যাগে বেশ কিছু নগদ টাকা ছিল পন্থের। সূত্রের খবর, গাড়ির মধ্যে ৩-৪ লাখ নগদ টাকা ছিল। দুর্ঘটনার পর গাড়ির মধ্যে থেকে সেই টাকাগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলি প্রায় সবই নিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। সেই টাকার ব্যাগের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে যাচ্ছিলেন পন্থ। সে সবের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পর পন্থকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সক্ষম সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক সুশীল নাগর বলেছেন, ‘‘পন্থকে যখন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন ওর সম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তপাত হচ্ছিল।’’
একাংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও স্থানীয়দের কয়েক জন অবশ্য পন্থকে সাহায্য করেন। তাঁকে মাটি থেকে তুলে তাঁর গায়ে চাদর জড়িয়ে দেন। সেই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়া হরিয়ানা সরকারের একটি বাসের চালক এবং অন্য কর্মীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন আহত ক্রিকেটারের দিকে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ স্থানীয়দের একাংশের এই অমানবিক ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় নিজে সব ব্যবস্থা করার জন্য প্রশংসা করেছেন পন্থের।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পন্থের ভস্মীভূত গাড়ি। ছবি: টুইটার।
That video of Rishabh Pant is really disturbing
— Avinash Aryan (@AvinashArya09) December 30, 2022and he was bleeding and requested not to shoot his video. Someone even looted his purse.
Kya duniya hai yaar ye.
সক্ষম সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে পরে চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেহরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান-সহ নানা পরীক্ষা করা হয়েছে পন্থের। দেহরাদূনের হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি পন্থের। গাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেলেও আগুন ছুঁতে পারেনি উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে।