Mohammed Azharuddin

নাম মোছার নির্দেশে তেলঙ্গানা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তি আজহারের

হায়দরাবাদের স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন অম্বুডস্‌ম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল তেলঙ্গানা হাই কোর্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৬
Picture of Mohammed Azharuddin

মহম্মদ আজহারউদ্দিন। —ফাইল চিত্র।

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার এথিক্স অফিসার ও অম্বুডস্‌ম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম সরাতে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে ঈশ্বরাইয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যখন আজহারের নামে স্ট্যান্ড হয়েছিল, তখন আজহার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি ছিলেন। যে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল, সেই বৈঠকেরও সভাপতিত্ব করেছিলেন আজহার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোর করে নিজের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ করেছেন তিনি। এমনকি, টিকিটে যে তাঁর নাম থাকবে সেটিও তিনিই ঠিক করেছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার অধীনে থাকা ২২৬ সদস্যের মধ্যে এই ক্লাব একটি। তার পরেই সব খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেন ঈশ্বরাইয়া।

ঈশ্বরাইয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আজহার। তিনি আদালতে জানান অম্বুডস্‌ম্যানের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার পর তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেওয়া নির্দেশ কেন অগ্রাহ্য করা হবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন আজহার। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের আবেদন খতিয়ে দেখে হাই কোর্ট বলেছে, উপ্পল স্টেডিয়ামের উত্তর দিকের স্ট্যান্ড থেকে আজহারের নাম এখনই সরানো যাবে না।

এর আগে অম্বুডস্‌ম্যান বিচারপতির সিদ্ধান্তে হতাশা এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আজহার। দেশের হয়ে ৪৩৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আজহার বলেছিলেন, “বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কখনও কখনও মনে হয়, ক্রিকেট খেলেই ভুল করেছি। এত দিন ধরে দেশের সেবা করেছি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তার পরেও আমার নামে কালি লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ক্রিকেট খেলারই অসম্মান করা হচ্ছে।” আজহারের অভিযোগ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন