Sourav Ganguly

সৌরভের হস্তক্ষেপে ইডেনে মিটল আম্পায়ারিং বিতর্ক, পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ভবানীপুরের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি হল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচ সোমবার পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকল। একটি আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। ইস্টবেঙ্গল খেলতে অস্বীকার করে। বিতর্ক সামলাতে ইডেনে আসতে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ১৯:৪৩
picture of Sourav Ganguly

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আবার বিতর্কে বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা সিএবি। ইডেনে স্থানীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম ডিভিশনে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচ সোমবার পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকল। একটি আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। ইস্টবেঙ্গল খেলতে অস্বীকার করে। বিতর্ক সামলাতে ইডেনে আসতে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি হস্তক্ষেপ করলে ইস্টবেঙ্গল খেলতে রাজি হয়।

Advertisement

পাঁচ দিনের ম্যাচে সোমবার চলছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। রবিবার ৮৩ ওভারে ভবানীপুর করেছিল ৩ উইকেটে ২৫৭ রান। শাকির হাবিব গান্ধী ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। সোমবার নির্ধারিত সময় দুপুর ১টায় খেলা শুরু হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই শুরু হয় বিতর্ক। ইস্টবেঙ্গলের পেসার কণিষ্ক শেঠের বলে গান্ধী স্লিপে সন্দীপন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু পাল আউট দিয়ে দেন। কিন্তু জানা যায় ক্যাচ ধরার আগেই বল মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু স্কোয়্যার লেগ আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে গান্ধীকে ডেকে নেন।

এর পরেই ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল বেঁকে বসে। তারা জানিয়ে দেয়, গান্ধীকে ‘নট আউট’ দেওয়া হলে তারা খেলবে না। ভবানীপুর ক্লাবও জানিয়ে দেয়, গান্ধীকে আউট দেওয়া হলে তারাও আর খেলবে না। দুই শিবিরের প্রবল তর্কাতর্কিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। দুই দলকেই বোঝানোর চেষ্টা করেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। ঝামেলার খবর পেয়ে ইডেনে চলে আসেন সৌরভ। তিনি দুই ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। গান্ধীকে আবার ব্যাট করতে দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গল আর আপত্তি করেনি।

ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে মাঠে ছিলেন কোচ আবদুল মুনায়েম, ক্রিকেট দলের মেন্টর সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার এবং ক্রিকেট সচিব। দেবব্রত সরকার আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, ‘‘যাঁরা সরকারি ভাবে এবং নেপথ্যে থেকে এখন সিএবি চালান, তাঁরা আলোচনায় বসেছিলেন। সমস্যার সমাধানের জন্য কাউকে একটা এগিয়ে আসতে হত। ইস্টবেঙ্গল ঐতিহ্যশালী ক্লাব। ভবানীপুরও বহু পুরনো ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা যাতে হয়, সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গল নরম হয়ে খেলতে রাজি হয়েছে। আমি ক্রিকেট সচিবকে অনুরোধ করি, বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে যদি আবার দল নামানো যায়। তিনি রাজি হন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন