ভারতের মহিলা দল। — ফাইল চিত্র।
রবিবার মহিলাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল। নবি মুম্বইয়ে খেলতে নামবে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’দলের কাছেই প্রথম বার ট্রফি জেতার সুযোগ। সেমিফাইনালে রেকর্ড রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হলেও, ফাইনালে হরমনপ্রীত কৌরেরা প্রতিশোধ নিতে তৈরি।
তবে প্রথম একাদশে একটি বদল করতে পারে ভারত। ব্যাটিং আরও শক্তিশালী করতেই দলে আনা হতে পারে এক অলরাউন্ডারকে। কেমন হতে পারে প্রথম একাদশ?
স্মৃতি মন্ধানা: দলের সহ-অধিনায়ক। তাঁর দলে থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। রান করা হোক বা রান তাড়া করা, দুই বিভাগেই সমান পারদর্শী স্মৃতি। সেমিফাইনালে শুরুটা ভাল করলেও বেশি রান করতে পারেননি। ফাইনালে তাঁর বড় ইনিংসের দিকে তাকিয়ে দল।
শেফালি বর্মা: প্রতিকা রাওয়াল চোট পাওয়ায় আচমকাই ডাক পেয়েছেন বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেওছিলেন। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শেফালি। মাত্র ১০ রান করেছেন। ওপেনিংয়ে ভারতের হাতে আর বিকল্প নেই। তাই শেফালিকে খেলাতেই হবে। শেফালির সামনে সুযোগ বড় রান করে আবার দলে নিজের জায়গা ফেরানোর।
জেমাইমা রদ্রিগেজ়: ভারতকে ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর। সেমিফাইনালে তিনি শতরান না করলে কোনও ভাবেই জেতে না ভারত। জেমাইমা নিশ্চয়ই চাইবেন আরও একটা মনে রাখার মতো ইনিংস খেলে ট্রফি হাতে তুলতে। তাঁর দিকে তাকিয়ে গোটা দেশও।
হরমনপ্রীত কৌর: জেমাইমার শতরানেও ভারত জিতত না, যদি না অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হরমনপ্রীত অর্ধশতরান করতেন। বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিকের পর অনেক সমালোচনা হয়েছে হরমনপ্রীতের নেতৃত্ব নিয়ে। সেমিফাইনালে কিছুটা জবাব দিয়েছেন। ট্রফি জিতলে ভারতের মহিলাদের ক্রিকেটে ইতিহাস গড়বেন হরমনপ্রীত।
দীপ্তি শর্মা: ব্যাট এবং বল, দু’ভাবেই দলের হয়ে অবদান রাখতে পারেন তিনি। ফাইনালে দলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে তাঁর উপরে। তবে দীপ্তিকে আরও একটু স্ট্রাইক রেট বাড়াতে হবে।
রিচা ঘোষ: চোট পেয়েও আবার ফিরেছেন দলে। চালিয়ে খেলার জন্য সিদ্ধহস্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর ২৬ রান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিচাও ফাইনালে খেলবেন। তবে উইকেটকিপিংয়ে আরও একটু মন দিতে হবে। সহজ ক্যাচ ছাড়লে চলবে না। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও আরও একটু বুদ্ধি দেখাতে হবে।
আমনজ্যোৎ কৌর: বাংলাদেশ ম্যাচে তাঁকে ওপেন করতে হয়েছে দলের দরকারে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জয়ের রানও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ফাইনালে সুযোগ মতো এ ভাবেই অবদান রাখতে হবে আমনজ্যোৎকে।
স্নেহ রানা: সেমিফাইনালে খেলেননি। তবে রাধা যাদবের জায়গায় ফাইনালে খেলানো হতে পারে তাঁকে। এই একটিই বদল করতে পারে ভারত। ফাইনালে ব্যাটিং গভীরতা আরও একটু দরকার হতে পারে। রানার বোলিংও খারাপ নয়। নবি মুম্বইয়ের পিচে বল ঘোরাতে পারলে ভারতেরই লাভ।
ক্রান্তি গৌড়: বিশ্বকাপের শুরুতে ছন্দে না থাকলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন। তবে সেমিফাইনালে প্রায় দশের কাছাকাছি ইকনমি রেট ছিল। বলের নিয়ন্ত্রণ আরও একটু দরকারি। ফাইনালে কোনও সুযোগ দেবে না বিপক্ষ।
শ্রী চরণী: অস্ট্রেলিয়ার ওই রকম ব্যাটিংয়ের পরেও সেমিফাইনালে ওভারপ্রতি পাঁচের কম রান দিয়েছিলেন চরণী। ফাইনালেও তাঁর থেকে একই রকম বোলিং আশা করছে দল। ঘূর্ণি পিচ হলে তাকে কাজে লাগানোর পুরোপুরি চেষ্টা করতে হবে চরণীকে।
রেণুকা সিংহ: বিশ্বকাপের শুরুতে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরেছেন তিনিও। সেমিফাইনালে তিনিও পাঁচের কম রান দিয়েছেন। বল পিচে ফেলে ভিতরে ঢোকানোর ক্ষমতাই রেণুকার আসল অস্ত্র। প্রথম স্পেলে তিনি দু’-একটি উইকেট নিয়ে নিতে পারলে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে।