লিলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে দলকে জিতিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। তাঁর ফ্রিকিক নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। —ফাইল চিত্র
ম্যাচের শেষ মুহূর্ত। প্যারিস সঁ জরমঁকে জিততে গেলে দরকার একটি গোল। বক্সের বাইরে বল বসিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। তাঁর চোখ গোলের দিকে। বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেন মেসি। দল জিতল। কিন্তু তার পরে মেসির ফ্রিকিক নেওয়ার ধরন দেখে হতবাক সবাই। এ কী! শট মারার সময় লিয়োর ডান পায়ের গোড়ালি তো ভেঙে গেল। তবে কি চোট পেলেন মেসি?
না, চোট পাননি তিনি। কারণ, বল জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছেন মেসি। তাঁর সঙ্গে উল্লাসে মেতেছেন কিলিয়ান এমবাপে, সের্খিয়ো র্যামোসরা। তা হলে! ওটা আসলে মেসির শট মারার একটা কায়দা। যে কায়দায় বল আরও খানিকটা বাঁক খায়। তাতে আরও সমস্যায় পড়েন গোলরক্ষক।
কোনও ফুটবলার যখন ফ্রিকিক মারতে যান তখন তাঁর কিকিং ফুট (যে পায়ে শট মারা হয়)-এর থেকে নন-কিকিং ফুট (অন্য পা)-এর অবস্থান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নন-কিকিং ফুটের অবস্থান ঠিক করে দেয়, শট কোন দিকে যাবে বা কতটা বাঁক খাবে। মেসি শট মারার সময় তাঁর ডান গোড়ালি এমন ভাবে মুচড়ে দেন যে বল আরও বাঁক খায়। ফলে গোলরক্ষকের পক্ষে সেই বল ধরা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু এ ভাবে শট মারতে গেলে গোড়ালি মুচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দীর্ঘ দিনের অধ্যবসায়ের পরেই কোনও ফুটবলার এ ভাবে শট মারতে পারেন।
Leo Messi's wonderful free-kick from yesterday
— Paris Saint-Germain (@PSG_English) February 20, 2023#PSGLOSC pic.twitter.com/HGTtA4ntOu
মেসির গোলের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই অবাক তাঁর ভক্তরা। কেউ কেউ বলেছেন, ‘‘মেসির পা এই গ্রহের নয়। ভিন্গ্রহের জীবরা এসে দিয়ে গিয়েছেন।’’ কেউ আবার বলেছেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, লিয়োর পায়ে হাড় নেই। নইলে ও ভাবে শট মারা যায় না।’’ কারও দাবি, ‘‘এই কারণেই মেসিকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা হয়। কারণ, এই শট একমাত্র উনিই মারতে পারেন।’’
লিলের বিরুদ্ধে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ৩-৩ খেলা চলছিল। ৯৫ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে জেতান মেসি। প্যারিস সঁ জরমঁর হয়ে জোড়া গোল করেন এমবাপে। আর একটি গোল নেমারের। তবে ম্যাচের মধ্যেই গোড়ালির চোটে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় নেমারকে। ফলে জয়ের মধ্যেই কিছুটা চিন্তা বাড়ল পিএসজির।