নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুলপড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খরচ দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সার্বিয়ায় স্কুলপড়ুয়াদের খাবারের খরচ সরকার বহন করে না। সেখানে এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। টেনিসে পুরুষদের সিঙ্গলসে সবচেয়ে বেশি ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক তিনি। সেই জোকোভিচের অন্য রূপ দেখা গিয়েছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের খরচ দিয়েছেন তিনি।
সার্বিয়ার ২২ স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের খরচ জোগাতে এত দিনে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই টাকা জোকোভিচ ও তাঁর পুত্র স্টেফানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ করা হয়েছে। স্কুলে যাতে শিশুরা অভুক্ত না থাকে, সে দিকে খেয়াল রেখে এই কাজ করছেন তিনি। জোকোভিচ নিজে যুদ্ধবিধ্বস্ত সার্বিয়ায় বড় হয়েছেন। তিনি জানেন, শিশুদের বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি। তাই এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
জোকোভিচ জানিয়েছেন, এই জয় তাঁর কাছে সবচেয়ে আনন্দের। সবচেয়ে তৃপ্তির। তিনি বলেন, “আমি যতগুলো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি তার থেকে এই জয় অনেক বড়। একই বছরে চার দেশে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। সেটা ব্যক্তিগত সাফল্য। কিন্তু ক্লাসে অভুক্ত অবস্থায় থাকা এক শিশুর মিুখে খাবার তুলে দিতে পারার আনন্দ সবার চেয়ে আলাদা। এতে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছি।”
৩৮ বছর বয়সেও থামার নাম নেই জোকোভিচের। বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর খেলায়। গত বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেরই সেমিফাইনালে উঠেছেন। কিন্তু জিততে পারেননি। কখনো কার্লোস আলকারাজ়, কখনও ইয়ানিক সিনার, আবার কখনও আলেকজ়ান্ডার জ়েরেভের কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু এখনও লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি। ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে মার্গারেট কোর্টকে টপকে শীর্ষে পৌঁছোতে মরিয়া তিনি। সেই ব্যক্তিগত লড়াইয়ের পাশাপাশি আরও একটি লড়াইয়ে নেমেছেন জোকোভিচ। সেই লড়াইয়ে জিতে গিয়েছেন সার্বিয়ার টেনিস তারকা।