SMS Fraud

মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে নিমেষে ফাঁকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কী ভাবে চিনে নেবেন হ্যাকারদের ভুয়ো এসএমএস?

সামান্য একটা এসএমএস পাঠিয়ে ফোন ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে হ্যাকারদের দল। কোন এসএমএস সঠিক আর কোনটা ভুয়ো, চেনার কিন্তু রয়েছে সহজ উপায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ১৯:২৮
Representative Picture

প্রতীকী ছবি।

মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে অ্যাকাউন্টের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে অহরহ। সাইবার অপরাধীদের এ-হেন পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিত্যদিন সর্বসান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই বিপদ থেকে বাঁচতে পারেন তাঁরা। তবে তার জন্য ফোন ব্যবহারকারীদের জানতে হবে এসএমএসের বিশেষ কোড। তা হলেই আসল এবং নকল এসএমএসের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে, বলছেন গ্যাজেট বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

হ্যাকারদের পাঠানো এসএমএস চেনার সহজ উপায় হল, এর শেষের অক্ষরটির দিকে নজর। যদি কোনও এসএমএসের একেবারে শেষে ‘এস’ অক্ষরটি লেখা থাকে, তা বলে বুঝতে হবে পরিষেবা (সার্ভিস) সংক্রান্ত বার্তা দিতে সেটি পাঠানো হয়েছে। একই ভাবে ‘পি’ অক্ষর লেখা থাকলে সেটি হল বিজ্ঞাপন ভিত্তিক বা প্রোমোশনাল এসএমএস।

আবার কিছু এসএমএসের একেবারে শেষে লেখা থাকে ‘জি’ অক্ষরটি। সরকারের থেকে পাঠানো হয় ওই সমস্ত এসএমএস। কিন্তু যদি কোনও এসএমএসের পর কিছুই লেখা না থাকে, তা বলে সেটি হ্যাকারদের পাঠানো হতে পারে। ওই ধরনের বার্তায় ঢুকে কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করার পরামর্শ দিয়েছেন গ্যাজেট বিশেষজ্ঞেরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সাইবার অপরাধীরা সাধারণত সরকারি এসএমএসের আদলে গ্রাহকদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। ফলে ভুল করে সেগুলির ভিতরে ঢুকে ক্লিক করে দেন অধিকাংশ ফোন ব্যবহারকারী। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার সুযোগ চলে যায় হ্যাকারদের হাতে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এসএমএসের পর এই ধরনের এস, পি বা জি আদ্যক্ষর কখনই লিখতে পারবেন না কোনও সাইবার অপরাধী। কারণ, এগুলি লিখতে হলে ‘টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা ট্রাইয়ের অনুমোদন নিতে হয়। আর তাই এসএমএস দেখার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন