U19 Asia Cup 2026

বৈভব ১৭১, ভারতের ছোটরা ৪৩৩, একগুচ্ছ নজির গড়ে আমিরশাহিকে ২৩৪ রানে হারালেন আয়ুষেরা

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে আগামী রবিবার ভারতের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তার আগে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন আয়ুষ মাত্রেরা। ১৭১ রানের ইনিংস খেললেন বৈভব সূর্যবংশী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৯
picture of cricket

১৫০ রান করার পর বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: এক্স।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে সহজ জয় পেল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে বৈভব সূর্যবংশীর ১৭১ রানের সুবাদে ভারত করে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রান। জবাবে আমিরশাহির ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে। ভারতের ২৩৪ রানের জয়ে তৈরি হল বেশ কিছু নজিরও।

Advertisement

ছোটদের এশিয়া কাপে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আমিরশাহির অধিনায়ক ইয়ায়িন কিরণ রাই। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে ভারত। বলা ভাল বৈভব। অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে ১১ বলে ৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও বৈভব চেনা ফর্মে। ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার ৫০ ওভারের ম্যাচের শুরুতে কিছুটা সাবধানী দেখিয়েছে বৈভবকে। থিতু হওয়ার পর আর রেয়াত করেনি প্রতিপক্ষ বোলারদের। ২০ ওভারের ক্রিকেটের গতিতে রান তুলেছে। তিন নম্বরে নামা অ্যারন জর্জের সঙ্গে প্রায় ২০০ রানের জুটি তৈরি করেছে। সেই জুটিতেও বৈভবেরই দাপট।

শতরান করার পথে বৈভব মেরেছে ৫টি চার এবং ৯টি ছয়। শতরান পূর্ণ করার পর বৈভবকে আরও আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত করে ৯৫ বলে ১৭১ রান। ৯টি চার এবং ১৪টি ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। ভারতের হয়ে ভাল রান করেছেন অ্যারন জর্জ (৭৩ বলে ৬৯), বিহান মালহোত্রা (৫৫ বলে ৬৯)। শেষ দিকে দ্রুত রান তুলেছেন অভিজ্ঞান কুন্ডু (১৭ বলে অপরাজিত ৩২) এবং কণিষ্ক চৌহান (১২ বলে ২৮)।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দারউইশ রসুলির। তিনি ২০১৭ সালে এক ইনিংসে ১০টি ছয় মারেন। বৈভব তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ছোটদের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এত দিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল হিলের দখলে। ২০০৮ সালে তিনি এক ইনিংসে ১২টি ছয় মারেন। বৈভব সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বৈভবের ১৭১। শীর্ষে ২০০২ সালে অম্বাতি রায়ডুর ১৭৭ রানের ইনিংস।

ভারতের বিরুদ্ধে ৪৩৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিল আমিরশাহি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় তারা। অধিনায়ক রাই (১৭), অন্য ওপেনার শালোম ডি’সুজ়া (৪), আয়ান মিসবা (৩), আহমেদ খুদাদদ (০), নুরুল্লাহ আয়োবি (৩) পর পর আউট হয়ে যান। মুহাম্মদ রায়ান করেন ১৯। ৫৩ রানে আমিরশাহির ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভারতের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবু সপ্তম উইকেটে কিছুটা লড়াই করলেন পৃথ্বী মাধু এবং উদিশ সুরি। তাঁদের জুটিতে উঠল ৮৫ রান। মাধু করলেন ৮৭ বলে ৫০ রান। উদিশের ব্যাট থেকে এল অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। মূলত তাঁদের লড়াই আমিরশাহির রানকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেয়। পিচে থাকার চেষ্টা করলেন সালেহ আমিনও (২০)। অসমাপ্ত অষ্টম উইকেটের জুটিকে তাঁরা করেন ৬১ রান।

এ দিন ভারতের হয়ে ন’জন বল করেছেন। তাঁদের মধ্যে সফলতম দীপেশ দেবেন্দ্রন ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ৭ রানে ১ উইকেট বিহানের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন কিশান সিংহ, হেনিল পটেল, খিলান পটেল। ভারতের পরের ম্যাচ রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

Advertisement
আরও পড়ুন