Conscious Tourism

ভ্রমণের সঙ্গেই পর্যটকদের মধ্যে দায়িত্ববোধের জাগরণ, জনপ্রিয় হচ্ছে ‘কনশাস ট্যুরিজ়ম’

ভ্রমণের সঙ্গেই পর্যটকদের কিছু দায়িত্ব বর্তায়। বিশ্ব উষ্ণায়ন বিরোধিতা এবং সবুজায়ন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাই জনপ্রিয় হচ্ছে ‘কনশাস ট্যুরিজ়ম’।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ১৭:০০
With time conscious tourism is getting popular among travelers know about this eco friendly travel trend

ভ্রমণের সঙ্গে কিছু দায়িত্ব বর্তায় পর্যটকদের উপর। ছবি: সংগৃহীত।

কোনও অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে সাফারির সময় খাবারের প্যাকেট বা সঙ্গের জলের বোতল জঙ্গলেই ফেলে দিলেন। আবার কোথাও ঘুরতে গিয়ে দেখা গেল স্থানীয় বিক্রেতাদের থেকে কেনাকাটা না করে, শপিং মল বা কোনও প্রতিষ্ঠিত দোকান থেকে বাজার করলেন। এই ধরনের প্রবণতার বিরোধিতা করে ‘কনশাস ট্যুরিজ়ম’, অর্থাৎ দায়িত্ব সহকারে ভ্রমণ। ঘুরতে বেরিয়ে আলাদা করে দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ দেয় ‘কনশাস ট্যুরিজ়ম’। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে।

Advertisement

১) স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা: ভ্রমণের জন্য গন্তব্য চূড়ান্ত হলে সেখানকার সংস্কৃতি, পোশাক, খাবার এবং জীবনধারার খোঁজখবর নেওয়া উচিত।

২) ইকো ট্যুরিজ়ম: সবুজায়নের ব্যাপারে বিশ্ব জুড়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময় নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলা উচিত, যা পরে রিসাইক্‌ল করা যায়। পাশাপাশি, থাকার জন্য ইকো রিসর্ট এবং যাতায়াতের জন্য পরিবেশবান্ধব যান ব্যবহার করা যেতে পারে। এখনকার বেশির ভাগ ইকো রিসর্টে সৌরশক্তি এবং প্রাকৃতিক জলকে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি, বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে।

৩) স্থানীয় ব্যবসা: যে কোনও পর্যটনকেন্দ্র স্থানীয় শিল্পী এবং ব্যবসায়ীদের উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। তাই ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের থেকে কেনাকাটা করলে বা স্থানীয় গাইড নিলে, সামগ্রিক ভাবে পর্যটনশিল্পের উন্নতি হয়। যাতায়াতের জন্য দূরত্ব কম হলে হাঁটা, অন্যথায় গণপরিবহণও ব্যবহার করা যেতে পারে।

With time conscious tourism is getting popular among travelers know about this eco friendly travel trend

— প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

৪) প্রকৃতির সুরক্ষা: ঘুরতে গিয়ে প্রকৃতির যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্র বা বন্যপ্রাণের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা উচিত। ট্রেকিং বা ড্রাইভিংয়ের সময়ে কার্বন ফুটপ্রিন্ট না রাখাই ভাল।

৫) পরিমিত ব্যবহার: মন ভাল রাখতেই ভ্রমণ। তাই অনেক সময়েই যথেষ্ট জল, খাবার বা বিদ্যুতের ব্যবহার করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। হোটেলের বুফেতে খাবার নষ্ট না করা, ঘর থেকে বেরোনোর সময় শীতাতপ যন্ত্র বন্ধ করা বা বাথরুমের কল বন্ধ করে রাখা— এই ধরনের ছোট ছোট সিদ্ধান্তগুলি শেখায় ‘কনশাস ট্যুরিজ়ম’।

Advertisement
আরও পড়ুন